বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এ যেন সত্যিই উলট পুরাণ। একদিকে যেখানে আসানসোল, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের দাবি তুলেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। উল্লাসে সবুজ আবির গালে মেখে চলছে জয়ের উদযাপন। তেমনি এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেই জয়ের দাবি তুলতে দেখা গেল সিপিএমকেও (CPM)।
লাল বাহিনীর দাবি, পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) রায়নার দু’টি পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তারা নির্বাচনের আগেই জয়লাভ করেছে। সূত্রের খবর, রায়নার পাইটা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি শাসকদল। অন্যদিকে শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি সিটে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও শেষ মুহূর্তে সেই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, রায়না ১ ব্লকের শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৮ নম্বর বুথটি অনগ্রসর জাতিদের জন্য সংরক্ষিত। শাসকদলের হয়ে সেখানে প্রার্থী হিসেবে টিকিট পান চাঁদ মহম্মদ মল্লিক। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তিনি নিজের জাতিগত শংসাপত্র জমা দিতে না পারায় শনিবারই তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
ওই আসনে তৃণমূল ছাড়া একমাত্র প্রার্থী ছিল সিপিএমের ইসমাইল মোল্লা। তৃণমূলের প্রার্থী বাতিল হওয়ায় তিনিই জয়ী হয়ে যান। জানা গিয়েছে, এই দু’টি আসনে সিপিএম ছাড়া আর আর কোনও রাজনৈতিক দলই প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই স্বাভাবিকভাবে দুই আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হয়েছে সিপিএম এর।

বর্ধমানের মতো জেলায় তৃণমূলের এহেন দশা দেখে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চৰ্চা। চিন্তায় ঘাম ঝরছে শাসকদলের। অন্যদিকে, ভোটের আগেই জোড়া আসনে জয় সিপিএমের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বৃদ্ধি করবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।





Made in India