বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে আক্রমণের পারদ! আগামী শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। তার আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে এক বিরাট অভিযোগ আনল সিপিএম। ইতিমধ্যেই সিপিএমের (CPM) একটি প্রতিনিধি দল এই নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে খবর।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছিল, চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মচারীদের নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার নিজে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে তৃণমূল সেই নির্দেশ অমান্য করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। তাদের দাবি, রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোট প্রশিক্ষণের কর্মশালায় কম্পিউটার ব্যবহার সম্বন্ধিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি কর্মচারীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়। তবে সরকারি সংস্থার অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না এটা স্পষ্ট জানিয়েছিল কমিশন (ECI)। তৃণমূল সেই নির্দেশ অমান্য করেছে এই অভিযোগ নিয়ে সোমবার কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন রবীন দেব, শমীক লাহিড়ীর মতো নেতারা।
আরও পড়ুনঃ ‘একদম ফালতু কথা বলবেন না’! সংবাদমাধ্যমের ওপর তুমুল ‘চোটপাট’ শতাব্দীর! তারপর…
সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের কর্মীদের চুক্তিভিত্তিকভাবে নিয়োগ করে তাঁদের ভোটের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে যে সংস্থা কাজ করছে তাঁদের কর্মচারীদের মাধ্যমেই জেলায় জেলায় ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রবীন দেবদের অভিযোগ, অটো-বাসের মতো গণপরিবহণে ভোটের হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে। অথচ নিয়ম বলছে, বাণিজ্যিক কোনও যানবাহনে যদি নির্বাচনী প্রচার করা হয় তাহলে তার আয়কে নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে ধরা উচিত।
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসকের (জেনারেল) বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে সিপিএম। তিনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলে দাবি শমীক লাহিড়ীদের। সব মিলিয়ে, জোড়াফুল শিবিরের বিপক্ষে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম। এবার কমিশন কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকে নজর সকলের।

উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কী কী করতে পারবেন কী কী করতে পারবেন না সেই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে পারবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে সেখানে।





Made in India