বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলে (Bangladesh – Myanmar Costal Area) প্রবল বেগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)। সে দেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ল্যান্ডফলের সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি থাকবে ঘণ্টায় ২১০ কিমি। আতঙ্কে রয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ অঞ্চলের বাসিন্দারা। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতেও এই ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
শুরু মোকার প্রভাব : ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে দমকা হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল রাত থেকেই দ্বীপের বাসিন্দারা রয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। গতরাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় সেখানে। আজ সকালে থেকেই সেই বৃষ্টির পরিমাণ এবং ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ক্রমশ বাড়েছে। মধ্যরাতে বৃষ্টি বেড়েছে কক্সবাজার এলাকাতেও।

আতংকে রোহিঙ্গা শিবির : বাংলা দেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে মোখার। সেই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বননের নির্দেশ দিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে যাতে রোহিঙ্গারা শিবিরের বাইরে না যেতে পারেন, তার জন্য পুলিস ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তৈরি বাংলাদেশের নৌবাহিনী : যে কোনওরকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। মোট ২১ টি জাহাজ, মেরিটাইম প্যাট্রোলিং এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টারকে তৈরি রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।
বিপদ মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ : গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কার্যত কোনও প্রভাব পড়বে না। শুধুমাত্র উপকূলবর্তী তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি কোনও জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে মোখা এতটাই দূরে আছে যে সেই ঘূর্ণিঝড়ের কার্যত কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।





Made in India