বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে জনগণের সেবায় যাওয়াই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের কাছে। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) পূর্বে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে দিদির দূত হয়ে আম জনতার দুয়ারে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে তৃণমূলে (TMC)। আর তাতেই ঘটছে একের পর এক বিপত্তি।
শুক্রবার দিদির দূত হয়ে জনগণের সেবার গ্রামে পৌঁছায় তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। আর সেখানে গিয়েই স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়লেন জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা। এদিন অনুব্রত গড় বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়া গ্রামে আবাস যোজনার তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামবাসীরা। বহুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর আবাস যোজনার দুর্নীতির সমস্ত ডে কেন্দ্রের ওপর দায় ঠেলে কোনওক্রমে গ্রাম ছাড়েন দেবাংশু।
এদিন দেবাংশু কুখুটিয়া গ্রামে পৌঁছলে গ্রামবাসীরা প্রথমে দেবাংশুকে ঘিরে নিজেদের অভিযোগ জানাতে শুরু করে। তাঁদের অভিযোগ, পাকা বাড়ির মালিকরা বাড়ি পেলেও কাঁচা বাড়ির মালিকরা বঞ্চিত। এরপর তাঁদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন দেবাংশু। তৃণমূল নেতা তাঁদের বলেন, কেন্দ্র বহুদিন ধরে টাকা দিচ্ছিল না। রাজ্য সরকার একার উদ্যোগে প্রকল্প চালাচ্ছিল। তাই সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের হাত পা বাঁধা ছিল। এরপরই গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে যান দেবাংশু।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, শুক্রবারই রামপুরহাটে দিদির দূত কর্মসূচীতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ শতাব্দী রায়। গতকাল মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, চাকদায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীর কাছে হাত জোর করে ক্ষমাও চান তিঁনি।





Made in India