বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তর দিনাজপুর থেকে বিজেপির চেপে থাকা গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর (debasree chaudhuri) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (krishna kalyani)। এই ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী অভিযোগ করেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে ৩ কিমি করে র্যালি হওয়ার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তী ও জেপি নাড্ডার। কিন্তু সেটা চক্রান্ত করে ১৫০ মিটার এবং ৫০০ মিটারের মধ্যে শেষ করা হয়েছিল। এমনকি ফলাফল ঘোষণার দিন যখন ভোট গণনার সময় যখন আমি ৬০০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলাম, তখন দেবশ্রী চৌধুরী ফোন করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে যখন আমি জয়ী হলাম, তারপর নূন্যতম সৌজন্যবোধ দেখিয়ে ফোনে বা হোয়্যাটসঅ্যাপেও শুভেচ্ছা জানাননি তিনি’।

দেবশ্রী চৌধুরীকে যদি রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয়, তাহলে দলে ১০ জন বিধায়কও থাকবে না বলে দাবি করেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন, ‘উনি নিজেই আমাকে ফোন করেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছে। আবার সংবাদমাধ্যমের সামনে আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীনও বলেছেন। তবে আমি কিন্তু কিছু হারাইনি, উনি ওনার মন্ত্রীত্ব খুইয়েছেন। উনি ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারাতে চেয়েছিলেন’।
তিনি আর বলেন, ‘কিছুদিন আগেই দেবশ্রী চৌধুরী বলেছিলেন, আমি নাকি ওনার কাছে কিছু আবদার করেছিলাম। আমি যদি এরকম কিছু করেই থাকি, তাহলে সেটা পাবলিক ডোমেইনে জানাচ্ছেন না কেন উনি?’

এতকিছুর পর তাহলে কি এবার তাঁর অন্যদলে নাম লেখানোর পালা? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী জানান, ‘আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি আর আমিও কারো সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করিনি’।





Made in India