বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিভোর্স মামলায় এবার বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (High Court)। সম্প্রতি একটি বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় উচ্চ আদালতের বিচারপতি বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ তথা স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও মা, বাবার খোরপোষ (Alimony) সম্বন্ধিত ধারায় স্বামী-স্ত্রীয়ের সুরক্ষায় সাম্য রক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে। যা মা, বাবা ও ছেলেমেয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে একথাও ঠিক, ভারতীয় আইন কখনও অলসতা বা কাজের প্রতি অনীহাকে উৎসাহিত করে না।
হাইকোর্টের (High Court) পর্যবেক্ষণে তোলপাড়!
জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে বিয়ে করে সিঙ্গাপুর চলে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। স্ত্রীয়ের অভিযোগ, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপর অত্যাচার করতো। বছর দুয়েক পর তিনি ফের ভারতে ফিরে আসেন। নিজের গয়না বিক্রি দেন। আর্থিক অনটনের জন্য মামার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর সেই বছরই স্বামীর থেকে খোরপোষের দাবিতে মামলা করেন।
ওই মহিলা দাবি করেন, তিনি বেকার, কোনও উপার্জন করেন না। তবে তাঁর স্বামী মোটা বেতনের চাকরি করেন। এদিকে ওই মহিলার স্বামী এই দাবির বিরোধিতা করেন। এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) পর্যবেক্ষণ, মহিলা উচ্চশিক্ষিতা। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করেছেন। বিয়ের আগে দুবাইতে মোটা বেতনের চাকরি করতেন।
আরও পড়ুনঃ তিন সপ্তাহের মধ্যে…! ডেডলাইন বেঁধে কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?
সব মিলিয়ে, ওই মহিলার অন্তর্বর্তী খোরপোষের দাবি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এর আগে নিম্ন আদালতের তরফ থেকেও তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানেও সুরাহা হল না।

হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি ধারি সিং নিজের রায়ে বলেন, একজন উচ্চশিক্ষিতা স্ত্রী, যার ভালো বেতনের চাকরির অভিজ্ঞতা ও সুযোগ দুই-ই রয়েছে। তিনি নিজের স্বামীর থেকে কেবলমাত্র খোরপোষ আদায়ের জন্য বসে থাকতে পারেন না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলা নিজের শিক্ষার দ্বারা অর্থ উপার্জন ও ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। হাইকোর্টের তরফ থেকে তাঁকে চাকরি করায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।





Made in India