বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের অশান্তির মেঘ ঘনাচ্ছে ভারত-চিন সীমান্তে (India-China Border)। বিগত বছর তিনেক ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ভারত ও চিনা সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দিনরাত। এরই মধ্যে বারবার প্রকাশ পাচ্ছে চিনের আগ্রাসী মনোভাব। সীমান্তে শান্তি ফেরাতে যেখানে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কথাবার্তা চলছে, সেখানে চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই বায়ুসেনা ঘাঁটি বানিয়ে চলছে।
লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর পরিকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসাবে রাস্তা তৈরিতে চিনের মতো ভারতও পিছিয়ে নেই। ভারতীয় রেলওয়ে এখন এই অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ নাথুলায় সিভোক-রাংপো রেল সংযোগ প্রকল্পটি প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত এলাকায় সংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বর্তমানে সিকিমে সব রকম আবহাওয়ায় যোগাযোগের সুবিধা প্রদানের দিকে মনোনিবেশ করছে। সিভোক-রাংপো রেল সংযোগ প্রকল্প উত্তর-পূর্ব রাজ্যের জন্য এই ধরনের প্রথম যোগাযোগ প্রকল্প।

নাথুলা পর্যন্ত এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল সংযোগ প্রসারিত করার পরিকল্পনা সীমান্ত অঞ্চলে সব রকম আবহাওয়ায় যোগাযোগের সুবিধা প্রদানের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে প্রমাণিত হবে। এটি বিশেষ করে ফরওয়ার্ড এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীকে রসদ সরবরাহের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
এদিকে, ‘প্ল্যানেট ল্যাব’-এর থেকে পাওয়া সেই উপগ্রহ চিত্রের বিশ্লেষণ থেকে দেখা গিয়েছে, হোতান, নগারি গুনসা এবং লাসায় বায়ুসেনা ঘাঁটিকে আরও উন্নত করেছে চিন। কোথাও রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে তো কোথাও বেস পাকা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ জুন হোতান বায়ুসেনা ঘাঁটির উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা গিয়েছে যে এর আশেপাশে সেনার কোনও পাকা বাড়ি নেই।
২০২৩ সালের ১৮ মে-এর চিত্রে দেখা গিয়েছে, সেখানে নতুন এয়ার বেস গড়ে তোলা হয়েছে। মিলিটারি অপারেশনের জন্যও নতুন বাড়ি তৈরি হয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক যুদ্ধবিমান রাখার জন্য নয়া ‘অ্যাপ্রন’ তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই হোতান হল আকসাই চিনের উত্তরে শিনজিয়াং প্রদেশে অবস্থিত। সেখান থেকে লাদাখ খুবই কাছে।





Made in India