বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের (bangladesh) হিংসার ঘটনা নিয়ে নিন্দায় সরব বহু মহল। সেখানকার মন্দিরে ভাঙচুর, হামলা এবং সর্বোপরি সংখ্যালঘুদের উপর ধর্মীয় আঘাতের প্রতিবাদে দীপাবলি বর্জনের ডাক দিল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিভিন্ন মন্দির ও পুজোমণ্ডপগুলিতে কালো কাপড় পরে প্রতিবাদ করার কথাও ঘোষণা করে তাঁরা।
দুর্গা পুজোর অষ্টমী থেকে ঘটনার সূত্রপাত। বাংলাদেশের (bangladesh) কুমিল্লা জেলার নানুয়া দীঘিতে একটি দুর্গা পুজো (durga puja) মন্ডপ থেকে হামলার খবর উঠে আসে। অভিযোগ ওঠে, দুর্গা পুজোয় কোরানের (quran) অপমান করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি ইকবালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরই মাঝে আবার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আঘাতের খবর পাওয়া যায় রংপুরের পীরগঞ্জ, নোয়াখালি, ফেনি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকেও।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে সরকারের আইনানুগ ব্যবস্থা চলার মাঝেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আগামী ৪ ঠা নভেম্বর শ্যামাপুজোর উৎসব বর্জনের ডাক দিয়েছেন। রাজধানী ঢাকার শাহবাগে গণঅনশন থেকে দীপাবলি উৎসব বর্জনের ডাক দিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বানে ও আয়োজনে এক কর্মসূচি পালন করা হয়।
আর এই কর্মসূচী শেষেই হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ঘোষণা করেন আগামী ৪ ঠা নভেম্বর শ্যামা দীপাবলি উৎসব বর্জন করা হবে। বিভিন্ন মন্দির ও পুজোমণ্ডপগুলিতে ওই দিন সন্ধ্যায় কালো কাপড় পরে প্রতিবাদ করার কথাও ঘোষণা করা হয়।
এবিষয়ে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক জানান, ‘এইসমস্ত ঘটনা পরিকল্পিত ভাবেই করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশকে আফগানিস্তান বানানোর অসৎ প্রচেষ্টা চলছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলিম ঐক্য পরিষদ গঠন গড়ে তুলতে হবে’।





Made in India