বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হিন্দুদের প্রধান তিন দেবতা এবং ত্রিমূর্তির অন্যতম সদস্য হলেন বিষ্ণু (Vishnu) দেব। হিন্দুদের কাছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিপালক এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ দেবতা হিসাবেও ধরা হয় তাঁকে। পুরাণ মতে, বিষ্ণুর গাত্রবর্ণ ঘন মেঘের ন্যায় নীল। শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম ধারী বিষ্ণু হলেন চতুর্ভুজ। ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতাতে বিষ্ণুর বিশ্বরূপেরও বর্ণনা পাওয়া যায়।

পুরাণ মতে আমরা ভগবান বিষ্ণুর দশাবতারের বর্ণনা পাই। যার মধ্যে ৯ অবতারের জন্ম পূর্বেই হয়ে গিয়েছে এবং শেষ অবতার জন্ম নেবে এই কলিযুগে। হিন্দুদের বিশ্বাস কলিযুগের শেষ লগ্নেই জন্ম নেবেন বিষ্ণু ভগবানের শেষ অবতার। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার আবার বিষ্ণুকে “সহস্রকোটি যুগ ধারিনে” বলেও উল্লেখ করেছেন। যার অর্থ, প্রত্যেক যুগেই বিষ্ণুর অবতার জন্মগ্রহণ করে থাকেন।
ধর্মের পালন এবং দুষ্টের দমন ও পাপীর ত্রাণের জন্য বিষ্ণু অবতার প্রত্যেক যুগেই জন্ম গ্রহণ করেন বলে মনে করা হয়।হিন্দুধর্মের প্রধান তিন দেবতা অর্থাৎ ত্রিমূর্তি ধারণায় ব্রহ্মাকে বিশ্বচরাচরের সৃষ্টির প্রতীক, বিষ্ণুকে স্থিতির প্রতীক ও শিবকে ধ্বংসের প্রতীক রূপে কল্পনা করা হয়।

বিষ্ণুর ধ্যানমন্ত্র ওমঃ নমোঃ ব্রাক্ষন্য দেবায় গোঃ ব্রাক্ষন্য হিতায়ঃ চঃ জগঃধ্বিতায় কৃষ্ণায়ঃ নমঃ নমঃ
বিষ্ণুর অবতার মৎস্য, কূর্ম , বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, কৃষ্ণ অবতারের পর কলিযুগে কল্কি অবতারের আশায় রয়েছেন মানুষজন।

ভগবান বিষ্ণুর উপাসকদের বৈষ্ণব বলা হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন মন্দির ও জাদুঘরে বিষ্ণুর অনেক মূর্তি সংগ্রহ করে রাখা আছে। শাস্ত্রমতে, প্রতি বুধবার করে ভগবান বিষ্ণুর আর-এক রূপ ভগবান ভিথাল দেবের পূজা করলে সমস্ত বাঁধা বিপত্তি দূর হয়ে যায়।





Made in India