বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডলারের সাপেক্ষে গত কয়েক মাসে হুহু করে কমেছে ভারতীয় মুদ্রার (Dollar-Indian Rupee) দাম। তবে গত ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ফের কিছুটা চাঙ্গা হল ভারতীয় রুপি। দীর্ঘ চার মাস পর মার্কিন ডলারের নিরিখে ৮৫ টাকার গন্ডিতে উঠে এসেছে টাকার মূল্য। বিশেষজ্ঞদের মত, ২ এপ্রিল থেকে মার্কিন প্রশাসনের আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কার কালো মেঘ।
ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রার (Dollar-Indian Rupee) দাম
সেই কারণেই পতন হয়েছে মার্কিন ডলারের দামে। যার কারণে ভারতসহ একাধিক দেশের মুদ্রার দামে দেখা দিয়েছে পরিবর্তন। বেড়েছে টাকার দাম। শুক্রবার সকালে আন্তঃব্যাঙ্ক ফরেইন এক্সচেঞ্জ মার্কেট খুলতেই মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় রুপির দাম দেখা যায় দাঁড়িয়েছে ৮৫.০৭ টাকায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও খানিকটা চাঙ্গা হয় ভারতীয় রুপি (Indian Rupee)।
আরও পড়ুন : ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা! ‘৬০ বছর পর্যন্ত..,’ অবসরের বয়স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট
মার্কিন ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রার (Dollar-Indian Rupee) দাম দাঁড়ায় ৮৪.৯৬ টাকায়। বৃহস্পতিবারের ক্লোজিংয়ের সময় থেকে ভারতীয় মুদ্রার (Indian Currency) দাম বৃদ্ধি পায় ৩৫ পয়সা। গতকাল ডলারের নিরিখে ভারতীয় রুপির দাম ২২ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয় ৮৫.৩০ টাকায়। ডিসেম্বরের পর এই প্রথম বাড়ল ভারতীয় রুপির দাম।
আরও পড়ুন : নম্বর কমল পরিণীতার! TRP তালিকায় ছক্কা হাঁকাল পরশুরাম! হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বেঙ্গল টপার হল কে?
মার্কিন ডলারের নিরিখে আজ সকালে ভারতীয় মুদ্রার দাম দাঁড়ায় ৮৪.৯৬ টাকায়। অনেকেই বলছেন, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হ্রাস পাওয়ায় বাজারে আজ অনেকটাই পড়েছে ডলারের দাম। মার্কিন ডলারের দামে পতন দেখা গিয়েছে সারা বিশ্ব জুড়েই। গত ২রা এপ্রিল থেকে ভারতসহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের ক্ষেত্রে সমপরিমাণ আমদানি শুল্ক লাগু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হতে পারে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব। ফরেক্স ট্রেডারদের পর্যবেক্ষণ আমেরিকার কর আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বের একাধিক দেশ মুখোমুখি হতে পারে মুদ্রাস্ফীতির। সেই কারণে লক্ষণীয়ভাবে পতন এসেছে ডলারের দামে। একই সাথে হ্রাস পেয়েছে ডলারের সূচকও। ব্যারেল পিছু ০.৮৪ শতাংশ কমেছে অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম।

এই আবহে একাধিক সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, চলতি বছর চারবার সুদ কমাতে পারে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী জুন মাস থেকেই মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। এই আবহে আগামী দিনে মার্কিন ডলারের অবস্থার আর কতটা অবনতি হয় সেই দিকেই কড়া নজর বিশেষজ্ঞদের।





Made in India