বাংলাহান্ট ডেস্ক: গতকাল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। পদে বসেই আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধান সুর চড়ালেন ভারতের বিরুদ্ধে। গত সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকার নব প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট করেন ফেসবুকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নয়া প্ল্যানিং
ফেসবুক বার্তায় মোদি লেখেন, ‘প্রিয় বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে কাজের জন্য আমি মুখিয়ে আছি’। এরপরই প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই ভারত সহ ১০ টি দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্প দিলেন কড়া বার্তা। ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এর আগেও ট্রাম্পের মুখে এমন কথা শোনা গেলেও, অনেকেই ভেবেছিলেন রাষ্ট্রপতি পদে বসার পর হয়ত ট্রাম্প সেই ভাবনা থেকে সরে আসবেন।

তবে বাস্তবে দেখা গেল ঠিক তার উল্টো। প্রেসিডেন্ট (President) পদে বসার পরই ট্রাম্প রীতিমত হুমকির সুরে বলেন, ”যদি ব্রিকস দেশগুলি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনও মুদ্রায় নেলদেনের পদক্ষেপ নেয় তাহলে মুশকিল হবে। ব্রিকস দেশগুলি যদি এরকম কিছু করে, তবে আমরা তাদের সঙ্গে সেই ব্যবসায় কমপক্ষে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাব।”
আরোও পড়ুন : প্রজাতন্ত্র দিবসে বড় চমক ! চিন সীমান্তে মোতায়েন “প্রলয়”-এর প্রথম প্রদর্শন, সঙ্গে থাকছে…..
১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো নিয়ে এর আগেও বিশ্ব রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একবার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ”ভারত কখনই ডি-ডলারাইজেশনের পক্ষে ছিল না। ব্রিকস মুদ্রা রাখার কোনও প্রস্তাব নেই ভারতের।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত অক্টোবরে ব্রিক দেশগুলির এক শীর্ষ সম্মেলনে ডলারের পরিবর্তে বিকল্প মুদ্রায় ব্যবসা করার পক্ষে নিজের মতামত পোষণ করেন।

পুতিন বলেন, “আমরা ডলার ব্যবহার করতে অস্বীকার করিনি। কিন্তু আমাদের যদি কাজই করতে না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি? আমরা বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছি।” এছাড়াও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের হাতে সেবার দেখা যায় ব্রিকস কারেন্সির বাস্তবায়ানের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ কারেন্সি। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে আমেরিকা।





Made in India