বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসি-কে (Bengaluru FC) হারিয়ে সুপার সিক্সে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল লাল হলুদ। দলের অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভার দৌলতে ফের একবার অক্সিজেন ফিরে পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ২১ ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গলের প্রাপ্তি ২৪ পয়েন্ট। পয়েন্ট তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এল দলটি। যদিও পথে এখনও রয়েছে বেশকিছু বাধা।
সুপার সিক্সে উঠে এলেও প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ মিলবে কী না তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরের ম্যাচে পাঞ্জাবকে হারাতে পারলে তবেই প্লে অফে যেতে পারবে ইস্ট বেঙ্গল। এছাড়াও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলাফল কী হচ্ছে সেই দিকে। তবে গতকালকের জয় ইস্টবেঙ্গলিয়ানদের কাছে অন্য আনন্দের সেকথা বলাই বাহুল্য। কারণ, ISL এর ইতিহাসে এই প্রথম পরপর দুটি ম্যাচ জিতল লাল হলুদ।
এইদিন ম্যাচের শুরুর থেকেই চলছিল সমানে সমানে টক্কর। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয়। তবে প্রথম সুযোগটা আসে বেঙ্গালুরুর শিবশক্তির কাছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভসুখনের মাথায় বল লেগে গোল হতে হতে রয়ে যায়। তবে তারপরেই তেড়েফুঁড়ে মাঠে নামে ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরুর বক্সের ভিতরে নাওরেম মহেশকে ফাউল করেন ফানাই।
আরও পড়ুন : ফের আক্রান্ত জঙ্গি নেতা! মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাফিজ সইদ? তোলপাড় পাকিস্তানে
মিলে যায় নিশ্চিত পেনাল্টি। আর এই মোক্ষম সুযোগটাকেই কাজে লাগান সাউল ক্রেসপো। এর কিছুক্ষণ পর ফের একবার আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। ইস্টবেঙ্গল একটা গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় কেবল শৌভিক চক্রবর্তীর জন্য। তবে কিছুক্ষণ পর ফের একবার চাপ বাড়াতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। তবে সুনীল ছেত্রী মাঠে নামার পর থেকেই ম্যাচের রঙ বদলে যায়।
সেকেন্ড হাফেজ একটি পেনাল্টিও পেয়ে যায় তারা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি গোল করেন সুনীল। যদিও ইস্টবেঙ্গলের গোল কিপার গিল যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন এই গোল আটকানোর তবে সুনীলের পিকচার পারফেক্ট শটের কারণে বল গিয়ে সোজা জালে জড়িয়ে যায়। এরকম একটা পরিস্থিতিতে সকলেই ভেবেছিল ম্যাচ বেঙ্গালুরুর পক্ষেই যাবে।
আরও পড়ুন : মোহনবাগানের টেনশন বাড়াল গোয়া! চরম চাপে ইস্টবেঙ্গলও, ISL-র পয়েন্ট টেবিলে বিরাট রদবদল

ফের একবার মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছিল লাল হলুদের ভক্তরা। কারণ ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েও পয়েন্ট খোয়ানোর ইতিহাস বহু পুরনো। তবে অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা এসে সবটা সামলে নেন। ৭৩ মিনিটের মাথায় নিশু কুমারের পাশ করা বলে হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন। তার সেই গোলেই অক্সিজেন ফিরে পায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর বেঙ্গালুরুর কাছে সুযোগ এলেও আর সমতা ফেরাতে সক্ষম হয়নি দলটি।





Made in India