বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে যায়। ওই দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে আসা গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালায় বাহিনী। আর সেই গুলিতে প্রাণ যায় চারজন গ্রামবাসীর। এই ঘটনার পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। একদিকে যেমন শাসক দল গোটা ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তোলে। তেমনই আরেকদিকে, বিজেপি সমেত রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলগুলোই মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানির জন্য এই কাণ্ড ঘটেছে বলে জানায়। তবে বিজেপি বাদে সমস্ত রাজনৈতিক দলই সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে।

এরি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর একটি অডিও টেপ ফাঁস করে বিজেপি। ওই অডিও টেপে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, লাশ গুলো যেন রেখে দেওয়া হয়, উনি নির্বাচনের পরের দিনই শীতলকুচি গিয়ে লাশ গুলো নিয়ে মিছিল করবেন। বিজেপি এই অডিও টেপ ফাঁস করে অভিযোগ করেছিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন।

এবার সেই ফাঁস হওয়া অডিও টেপ নিয়ে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে রিপোর্ট চাইল দিল্লীর নির্বাচনী আধিকারিকরা। ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফার ভোটের দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির নেতারা। এরপরই রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ওই অডিও টেপ নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে সেদিনই নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। শীতলকুচির ওই বুথে পুননির্বাচন হবে। তবে কবে হবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি কমিশনের পক্ষ থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ফাঁস হওয়া অডিও টেপের রিপোর্ট জমা হওয়ার পরই শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে পুননির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করতে পারে কমিশন।





Made in India