বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টানা ১২ ঘণ্টা তল্লাশি। শুক্রের সকালে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (municipality recruitment scam) তৃণমূল হেভিওয়েটদের বাড়িতে একজোটে হানা দিয়েছিল ইডি। তালিকায় ছিল তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ও (MLA Tapas Roy)। এদিন সকাল ৬.৪০ নাগাদ বিধায়কের বউবাজারের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশির পর সন্ধ্যা ৬টা ২০ নাগাদ তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সাথে করেই বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। সাথে বেশ কিছু নথি নিয়ে যায় ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইলও। শাসকদলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায় বর্তমানে বরানগরের বিধায়ক। সেই ২০১১ সাল থেকে তিনি বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি দলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদেও রয়েছেন তিনি। এদিন ইডি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাপসবাবু।
সংবাদমাধ্যমের সাথে সাফ কথায় বিধায়ক জানান, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই তার কোনও যোগাযোগ নেই। ইডি হানা প্রসঙ্গে তাপসবাবু বলেন, ‘
আমি কিছু বলবো না ওরা বলবে। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো সুযোগ ছিল না। আমি জড়িতও নই। এসব রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হয়ে থাকতে পারে। ”
বিধায়ক আরও বলেন, “আমার মোবাইল নিয়ে গিয়েছে ওরা। কিছু কাগজও নিয়ে গিয়েছে। তেমন কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। পুর দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞেস করছে। ইডি তো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আসে। আমি কিছু জানি না এই বিষয়ে। কিছুদিন ওয়েট করুন। দেখতে থাকুন। আমাকে সমন করা হয়নি।”

আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করল CBI, উঠে এল নতুন দুজনের নাম, তোলপাড়
তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজ প্রসঙ্গে নেতা বলেন, ” কেউ কখনও কল লেটার নিয়ে এসেছে, হয়না চাকরি দেখে দেওয়ার জন্য। কেউ কেউ হাতে পায়ে ধরে এসে দেখে দেওয়ার জন্য বলে ..ওসব বহু পুরোনো লেটার (চিঠি) নিয়ে গিয়েছে। কিছু কাগজ পেয়েছে ..নিয়ে গিয়েছে। ” দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা হেনস্থায় স্ত্রী, পরিবারের যা হয়রানি হয়েছে তার জন্য খারাপ লাগছে বলেও মন্তব্য করেন বিধায়ক রায়। ওদিকে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Minister Sujit Boses) ও উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে এখনও জারি রয়েছে ইডির তল্লাশি।





Made in India