কেন মিড ডে মিলে ‘অনীহা’ বাংলার পড়ুয়াদের? বিতর্কের মাঝেই এ বার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই! বাংলায় সকলে মিড ডে মিল পাচ্ছে না, বা তারা মিড ডে মিল খেতে চাইছে না বলে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একেবারে রিপোর্ট প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছে কেন্দ্র। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া টাকার মধ্যে এখনও ৪০০০ কোটি টাকা রাজ্য খরচই করেনি। এবার এই নিয়ে পাল্টা মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।

মিড ডে মিল বিতর্কে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী | Mid Day Meal

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, কেন্দ্র যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি থেকে গিয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার রাজ্য সরকারের নিজস্ব রিপোর্ট প্রকাশ করলেন ব্রাত্য। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-‘২৫ শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিলের জন্য নথিভুক্ত পড়ুয়া ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬। তার মধ্যে মিড ডে মিল পেয়েছে ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন। অর্থাৎ ৬৯ শতাংশের কাছে মিড ডে মিল পৌঁছেছে।

কেন্দ্রের দাবি খারিজ করে পাল্টা শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ২০২৩-‘২৪ সালের থেকে ২০২৪-‘২৫ মিড ডে মিল পাচ্ছে এমন পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪-‘২৫ শিক্ষাবর্ষে, প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের অনুমোদিত বাজেট অনুসারে মিড ডে মিল পেয়েছে ৯১ % পড়ুয়া। যেখানে ২০২৩-‘২৪ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ।

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ”২০২৪-‘২৫ শিক্ষাবর্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বড় রাজ্যগুলির তুলনায় এ রাজ্যের মিড ডে মিল ব্যবস্থার অবস্থা যথেষ্ট ভাল রয়েছে।’ অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনে ব্রাত্য বলেন, ‘বাংলায় যত শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল পায়, শতাংশের হিসাবে বিহার, গুজরাত, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে তা কম।’ শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাকে পঙ্গু করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই সব প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্র।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/YuScrPMJpmE?si=gQ0sQ2KqRdDqIieF

ব্রাত্যর সাফ দাবি, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে দেশের বাকি বড় রাজ্যগুলির নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে মিড ডে মিলের অবস্থা যথেষ্ট ভালো। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম এনট্রি অনুসারে রাজ্যে মিড ডে মিলের কভারেজ ৬৯% শতাংশ। গুজরাট, বিহার, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে সেটা অনেকটাই কম বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ’অনুব্রতর আদেশ না মানায় ২১ দিন বন্দি’! কেষ্টর ‘কীর্তি’র ভাণ্ডার ফাঁস করলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য

প্রসঙ্গত, সরকার পরিচালিত, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের মিড ডে মিল (Mid Day Meal) দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে এই মিড ডে মিল নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। কখনও খাবারের মান, কখনও কারচুপি, কখনও আবার মিড ডে মিলের খাবার বাংলার সমস্ত পড়ুয়ারা খাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।