বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি এক কিশোরীর মুণ্ডুচ্ছেদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে মণিপুরে। বেশ কিছুদিন ধরে এমনিতেই অশান্ত মণিপুর (Manipur)। তার মধ্যে এই ভিডিও যেন আগুনে ঘি ঢেলেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের একটি ভিডিও মণিপুরের ভিডিও বলে ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। যে আইপি এড্রেস থেকে এই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে তার অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
শাহনওয়াজ মির্জাসহ কয়েকজন কংগ্রেসের নেতারা ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করেছেন যে আরএসএস কর্মী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেই কুকি সম্প্রদায়ের একজন খ্রিস্টান মেয়েকে মণিপুরের রাস্তার মাঝখানে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করেছেন, ফ্যাসিবাদী বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারের অধীনে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এরপরেই ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে সারাদেশে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকে রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে ইউনিফর্ম পরা কর্মীরা নির্মমভাবে আক্রমণ করছে এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার আক্রমণকারীরা মায়ানমারের। ভারতের খ্রিস্টান মেয়েদের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, Google Chrome InVID টুল ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই ভিডিওটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেক করা হয়েছে আর তাতেই উঠে এসেছে আসল সত্য। ভিডিওতে থাকা মহিলাকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, মারধর করা হয়েছিল এবং ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর (sic) একজন তথ্যদাতা হিসাবে স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই ভিডিওটিতে ঘটনার সঠিক অবস্থান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
https://twitter.com/KyawThu16945209/status/1598708394743193600?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1598708394743193600%7Ctwgr%5E8d7e661fa718a6d209f002d53f62985fcfbcb547%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fm.timesofindia.com%2Ftimes-fact-check%2Fnews%2Ffake-alert-disturbing-video-from-myanmar-peddled-as-christian-girl-brutally-executed-in-manipur%2Farticleshow%2F102158361.cms
তবে যারা ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করেছেন তারা লিখেছেন যে ঘটনাটি তামুতে ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্মিজ ক্যাপশন সহ বার্মিজ হ্যান্ডলগুলি থেকে পোস্ট করা একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া গেছে। ফলে, ফ্যাক্ট চেক (Fact Check) করে দেখা গেছে, মায়ানমারের (Mayanmar) একটি পুরানো ভিডিওকে (Viral Video) মিথ্যাভাবে প্রচার করা হচ্ছে।





Made in India