বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যের বুকে তিন তৃণমূল(TMC) কর্মীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। গুলি এবং পরে গলার নলি কেটে খুন করা হয় তাদের। ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলার ক্যানিংয়ের(Canning) অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামের। বর্তমানে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে আর এর মাঝেই এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
এদিন বিজেপিকে আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গকে গুজরাট কিংবা উত্তরপ্রদেশ হতে দেব না। আমাদের বাংলায় খুনের রাজনীতি চলে না।” তবে অন্যদিকে আবার এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তের মা দাবি করেছে যে, তার ছেলে নাকি তৃণমূল করত! যা নিয়ে বর্তমানে সরগরম হয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতি।
উল্লেখ্য, স্বপন মাঝি নামে এক পঞ্চায়েত সদস্য এবং দুই তৃণমূল কর্মী ভূতনাথ প্রামানিক এবং ঝন্টু মাঝিকে প্রথমে গুলি এবং পরে গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করে দুষ্কৃতীদের দল। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার উপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং এই প্রসঙ্গে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে রফিকুল নামে এক যুবকের নাম। এক্ষেত্রে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। তবে অভিযুক্তের নাম সামনে আসলেও তার বাড়িতে হানা চালিয়েও এখনো পর্যন্ত পাকড়াও করা যায়নি।
এর মাঝে এদিন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ কিম্বা গুজরাট হতে দেব না। এখানে আমরা খুনের রাজনীতির বরদাস্ত করবো না। যে অভিযুক্ত হবে, তাকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমাদের পুলিশ কখনোই কাউকে এনকাউন্টার করে মারার পক্ষপাতি নয়। তবে আমি বলতে চাই যে, এই ঘটনায় বিজেপি জড়িত রয়েছে।”

তবে অন্যদিকে আবার অভিযুক্তর মা দাবি করে যে, তার ছেলে নাকি অতীতকাল থেকেই তৃণমূল দল করে আসছে। ফলে তার এই মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। যদিও এই প্রসঙ্গটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ফিরহাদ। অপরদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের কোন যোগাযোগ নেই। এই খুন কেবলমাত্র তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই হয়েছে।”





Made in India