বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) করাচিতে সম্প্রতি ঘটে গিয়েছে মারাত্মক একটি ঘটনা। গত শুক্রবার রাতে বৈদ্যুতিক পরিষেবার অনুপস্থিতিতে সকলের চোখের অগোচরে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন “মারি মাতা মন্দির” (Mari Mata Temple)। শনিবার সকালে করাচির ওই প্রদেশের হিন্দু অধিবাসীরা ঘুম থেকে উঠে নিজেদের প্রিয় মন্দিরের ওই অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। তাদের অভিযোগ পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনার ঘটেছে।
ওই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রামনাথ মিশ্রা জানিয়েছেন যে মন্দিরটি প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এবং গল্পকথা শোনা যায় যে মন্দিরের নিচে গুপ্তধন পোঁতা রয়েছে। এইজন্য অনেকদিন ধরেই অনেক লোকাল প্রোমোটারের নজর ছিল মন্দিরের জমির উপর। মন্দিরটি করাচির মাদ্রাসি হিন্দু কমিউনিটির তত্ত্বাবধানে ছিল এবং তাদেরকে জানানো হয়েছিল যে মন্দিরটির অনেক পুরনো এখন বিপদজনক এবং যে কোনও মুহূর্তে সেটি ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও এই দাবিটি একটি অজুহাত হিসাবেই দেখছে স্থানীয় হিন্দু পরিবারগুলি। যদিও ওই অঞ্চলের সরকার মন্দির ভেঙে দেওয়ার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের মন্দিরের ওপর আক্রমণের ঘটনা কেবলমাত্র একটি ঘটেছে সম্প্রতি, এমন নয়। গত রবিবার ডাকাতদের একটি দল সিন্ধু প্রদেশের কাশমোর এলাকায় রকেট লঞ্চার দিয়ে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভারতে একজন হিন্দু পুরুষের সাথে পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দারের বিয়ের প্রতিক্রিয়ায় ডাকাতরা হিন্দু উপাসনালয় এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের আক্রমণ করার হুমকি দেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরেই এই হামলা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এবার হিন্দুদের উপর হওয়া এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ব হিন্দু মহাসভাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটে দানিশ কানেরিয়া। গোটা বিশ্ব জুড়ে থাকা সমস্ত হিন্দুদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে অনুরোধ করেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। প্রসঙ্গত তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার যিনি জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

একটি টুইট করে তিনি বলেছেন, “কেন পাকিস্তানে ঐতিহাসিক মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় নীরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সভা? ধর্মান্তর, অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার মতো অগণিত নৃশংস ঘটনা প্রতিদিন এখানে হিন্দুদের সাথে ঘটছে। এই দেশে ধর্মের স্বাধীনতা নেই। সারা বিশ্বের হিন্দুদের উচিত এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।”





Made in India