বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে আমরা বাস করছি ডিজিটাল যুগে। কিন্তু ডিজিটাল যুগে বাস করলেও আমাদের মন মাঝেমধ্যে প্রকৃতির সঙ্গ চায়। তাই আমরা সামান্য কয়েক দিনের ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। কর্মব্যস্তময় জীবন থেকে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে আমরা আপন করে নিই প্রকৃতিকে। আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের নাম আপনারা নিশ্চই শুনেছেন।
অনেকেরই স্বপ্ন রয়েছে সেখানে যাওয়ার। কিন্তু আমরা যদি বলি এই বাংলাতেই রয়েছে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন তাহলে কেমন হবে? আমরা একদম ঠিক কথাই বলছি। গনগনি অবস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতার খুব কাছে। এখানকার লাল ও গেরুয়া মিশ্রিত মাটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে আমেরিকার অ্যারিজোনার কথা।
এখানে অবস্থিত শিলাই নদী নিঃসন্দেহে কলোরাডোর জায়গা নিতে পারে। কলকাতা থেকে মাত্র ১৭৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গা। আপনারা আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের লাইট ভার্সন এখানে উপভোগ করতেই পারেন। বর্ষায় শিলাবতী নদীর রূপ দেখার মত। ৭০ ফুট গিরিখাত দিয়ে বয়ে যায় সেই নদী।
আবার বর্ষা শেষে জল নেমে গেলে এই নদীর রূপ অন্য। চুলের বেণীর মতো এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে এই নদী। এখানকার গিরিখাতে প্রবেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে সিঁড়ি। শীতের সকালে এই নদী ও ক্যানিয়ানের রূপ অপূর্ব। এই জায়গায় দেখতে পাবেন অজস্র কাজুবাদাম গাছের সারি। কংসাবতী নদী, ইকোপার্ক, পশ্চিমমেদিনীপুরের গোপগড়, আরাবাড়ি জঙ্গলও ঘোরার জন্য আদর্শ জায়গা।

অজস্র মন্দিরের মধ্যে সর্বমঙ্গলা কালী মন্দির খুবই বিখ্যাত। ১৬ শতকে খনন করা রাইকোটা দূর্গ বা কালো ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা নির্মিত কৃষ্ণরাই জিউ মন্দির, বাগদি রাজা নৃপতি সিংহের তৈরি সর্বমঙ্গলা কালী মন্দির রাখবেন আপনার ভিজিটিং লিস্টে। হাওড়া স্টেশন থেকে অজস্র ট্রেন যায় এই জায়গায়। এছাড়াও ধর্মতলা ও হাওড়া স্টেশন থেকে অজস্র বাস পেয়ে যাবেন।





Made in India