বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ প্রায় তিন দশক পর জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi) চত্বরে প্রদীপ জ্বলে উঠল। গত বুধবার গভীর রাতে জেলা আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী কম্প্লেক্সের বেসমেন্টে পুজো করা হয় (Worship In Gyanvapi)। বৃহস্পতিবার ভোরে মঙ্গলা আরতীও করা হয়। আজ সকাল থেকেই পুজোর জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেছে আম জনতা। কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে পুজো অর্চনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপাতত জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছে প্রশাসন। এইমুহুর্তে কেবল পুরোহিতরাই আসা যাওয়া করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পুজোর ছবি। যেখানে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও দেখা যাচ্ছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্তটাই করা হচ্ছে আদলতের নির্দেশ মেনেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী নিয়ে বিতর্ক কয়েক দশকের পুরনো। তবে বিতর্ক জোরালো হয় ২০২২ সাল থেকে। ঐ বছর পাঁচজন হিন্দু মহিলা মসজিদের বাইরের দেওয়ালে মা শ্রীনগর গৌরীর পুজো করার অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। মসজিদ ভবনের ভিডিওগ্রাফিক সমীক্ষা শুরু হলে একটি বিশেষ কাঠামো উদ্ধার হয়। হিন্দু পক্ষের দাবি, সেটি একটি শিবলিঙ্গ যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি সেটি একটি ফোয়ারা।
আরও পড়ুন : বাজেটের আগে দুঃসংবাদ! এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, কলকাতায় কত?
এসবের মাঝে জেলা আদালত মসজিদ কমিটির দাবি খারিজ করে দেয়। এরপর হিন্দু পক্ষ উদ্ধার হওয়া কাঠামোর (শিবলিঙ্গ বা ফোয়ারা) কার্বন ডেটিং করার আবেদন জানালে বারাণসী আদালত তা খারিজ করে দেয়। এরপরই হিন্দুপক্ষ পৌঁছায় এলাহাবাদ আদালতে। একই সাথে এলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার’ নির্দেশ দেয়। এছাঊ কার্বন ডেটিং-সহ ‘শিবলিঙ্গ’র বয়স নির্ধারণেরও নির্দেশ দেয় আদালত।

শুরু হয় তদন্ত এবং গত ২৫ জানুয়ারি ASI রিপোর্ট হিন্দু ও মুসলিম পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এবার বুধবার উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, এবার থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে সিল করা বেসমেন্টে পুজো করতে পারবেন হিন্দুরা। একথা বলাই বাহুল্য যে, আদালতের এই রায় মুসলিম পক্ষের জন্য একটি বড় ধাক্কা। একই সাথে ASI রিপোর্টকে মান্যতা দিতেও অস্বীকার করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন।





Made in India