বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে, বিয়ে মানেই লাখ কথার এক কথা! আর্শীবাদের পরেও ভাঙতে পারে বিয়ে। ঠিক যেমনটা ঘটল উত্তর প্রদেশের (Uttarpradesh) তিরভা কোতওয়ালি এলাকায়। জানা যায় যে, পাত্রী খারাপ ফল করেছিলেন উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষায়। সেই জন্য বিয়ে বাতিল করল পাত্রপক্ষ। যদিও পাত্রীর বাড়ি দাবি করেছে, চাহিদা মত পণ দিতে না পারায় পাত্রপক্ষ বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
দেখাশোনা করে উত্তরপ্রদেশের এই দুই পরিবারের মধ্যে ঠিক হয় বিয়ের। প্রথম থেকেই এই বিয়ে নিয়ে বেশ উত্তেজিত ছিলেন দুই বাড়ির লোকেরাই। শুরু হয়েছিল বিয়ের প্রস্তুতি। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হয় আশীর্বাদের অনুষ্ঠান। পাত্রীর বাবা সেই অনুষ্ঠানের সব খরচ বহন করেন। তিনি জানান তার প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই অনুষ্ঠানের জন্য।
এমনকি আশীর্বাদ করে পাত্রকে উপহার দেন ১৫ হাজার টাকা দামের একটি সোনার আংটি।
অভিযোগ আশীর্বাদের পরই পাত্রপক্ষ পাত্রীর পরিবারকে চাপ দিতে থাকে পণের জন্য। তবে পাত্রীপক্ষ পণ দিতে রাজি হয়নি। পাত্রীর বাবা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে তার পক্ষে পণ দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর পাত্রপক্ষ বেঁকে বসে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় খারাপ ফলের কারণ দেখিয়ে বিয়ে বাতিল করে তারা। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন পাত্রীপক্ষ।

তবে, পাত্রীর বাবা মনে করছেন যে চাহিদা মত পণ দিতে না পারায় পাত্রপক্ষ এই বিয়ে বাতিল করেছে। যদিও পণপ্রথা আইনত ভাবে অপরাধ তবুও এখানে বিয়ে বাতিলের ক্ষেত্রে পণপ্রথার মত বিষয়টি সামনে এসেছে। পাত্রীর বাবা বহুবার পাত্রপক্ষকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করেন। তারপরেও কোনো লাভ না হওয়ায় পাত্রীর পরিবার দারস্ত হয়েছে পুলিশের। এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে পাত্রের পরিবারের বিরুদ্ধে।
 
			 





 Made in India
 Made in India