বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে HDFC ব্যাঙ্ককে একটি অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি, ক্রমশ বাড়ছে এই ব্যাঙ্কের গ্রাহকসংখ্যাও। এমতাবস্থায়, এত বড় ব্যাঙ্ক হওয়া সত্বেও প্রযুক্তিগত ত্রুটি থেকে রেহাই পায়নি কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, বর্তমানে রীতিমতো বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হয়েছে এই ব্যাঙ্ক। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি HDFC ব্যাঙ্কের একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বহু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা পৌঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, এই টাকা আদায় করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে মোট ১০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে:
এই প্রসঙ্গে Mint-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই ব্যাঙ্কটি ৪,৪৬৮ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ১০০ কোটি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে, BQ Prime-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই ১০০ কোটি টাকার মধ্যে থেকে ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকাও ফিরিয়ে আনতে পারেনি।
মূলত, এই ঘটনার পর একাধিক গ্রাহক ব্যাঙ্কের টাকা আদায়ে সহযোগিতা করছেন না বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, গ্রাহকদের মধ্যে অনেকে আবার অভিযোগ করেছেন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক তাঁদের এখন রীতিমতো ভয় দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায়, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গ্রাহকরা যদি এই বিপুল সংখ্যক টাকা পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা না করেন, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক এই টাকা ফেরত পেতে আইনি পথ নিতে পারে।
অতীতেও ঘটেছে এমন ত্রুটি:
ইতিমধ্যেই HDFC ব্যাঙ্ক BQ Prime-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সিস্টেম প্যাচটি গত ২৮ মে রাতে এবং ২৯ মে সকালে আপগ্রেড করা হয়েছিল। এর পরেই, কিছু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সে অসঙ্গতি দেখা দেয়। পাশাপাশি, মে মাসেই চেন্নাইয়ের ত্যাগরাজ নগরের ওসমান রোড শাখায় সিস্টেম আপগ্রেড করার সময় আরও একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা গিয়েছিল। যার কারণে প্রায় ১৩ কোটি টাকা বেশ কিছু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এরপর প্রায় ১০০ টি অ্যাকাউন্টের ওপর ব্যবস্থা নেয় ব্যাঙ্কটি।

বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে যখন RBI (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া) HDFC ব্যাঙ্কের কিছু ডিজিটাল অফারকে নিষিদ্ধ করেছিল, তখন ব্যাঙ্ক তার পুরো সিস্টেমটিকে সম্পূর্ণরূপে সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত, এই ব্যাঙ্কের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে ঘন ঘন সমস্যার কারণেই, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এটির উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। এমতাবস্থায়, RBI চলতি বছরের মার্চ মাসে HDFC ব্যাঙ্কের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। প্রায় আড়াই বছর আগে, RBI, HDFC ব্যাঙ্কের ডিজিটাল লঞ্চ এবং নতুন ক্রেডিট কার্ড কাস্টমার তৈরির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল।





Made in India