বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার মাটিতে প্রকাশ্যে একের পর এক আবাস দুর্নীতি (Awas Corruption)। নিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে দুর্নীতির অভিযোগ। পেল্লায় পেল্লায় ইমারত থাকা সত্ত্বেও যোজনার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে স্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের নাম। অন্যদিকে যোগ্য দাবিদার হয়েও নিজেরদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এবার এই অভিযোগেই পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক (Panchayat Vote Boycott) গ্রামবাসীদের।
ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পান্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আবাস যোজনার ঘর না মেলায় এদিন বিক্ষোভে সামিল হয় গ্রামের কিছু বাসিন্দা। তাঁদের দাবি এলাকার কোনও বাসিন্দার নাম নেই আবাস যোজনার তালিকায়, পাশাপাশি করা হয়নি কোনও সমীক্ষাও।
ঠিক কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “আমরা ঘর পাইনি। তাই পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। পঞ্চায়েতে এসে আমরা আবেদন জানিয়েছি কেন আমরা ঘর পাব না? আমাদের ঘর থেকে জল পড়ে বর্ষাকালে। বৃষ্টির সময় থাকতে পারি না। তবুও আমাদের ঘর দেওয়া হয়নি।” এরপরই আগামী বছর আগত পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক তোলেন বিক্ষোভরত গ্রামবাসীরা।
এ বিষয়ে, গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিখিল দাসের বক্তব্য, “আগে যখন তালিকার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল তখন এই গ্রামের বাসিন্দারা তা করতে দেয়নি। তাঁদের দাবি ছিল ঘর দিলে সবাইকে দিতে হবে। কিন্তু সেটা তো একবারে সম্ভব না। সরকার যেভাবে বলবে সেই ভাবেই কাজ হবে। আমরাও চাই গরিব মানুষ যেন ঘর পায়। ঘর পাওয়ার যোগ্য এখনো অনেক মানুষ আছে। তবে সেটা ধীরে ধীরে হবে। যে বা যাওয়ার পাওয়ার যোগ্য তাকেই দেওয়া হোক। আবার নতুন করে যখন ঘরের সমীক্ষা হবে তখনই এটা সম্ভব।”

অন্যদিকে এ নিয়ে গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ক্ষোভ উগরে দেয় শাসক দলের ওপর। এই প্রসঙ্গে, বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “গ্রামবাসীদের ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। গরিব মানুষের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প। অথচ তাদেরই ঘর দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূলের স্বজন পোষণের জন্যই প্রকৃত উপভোক্তারা বাদ পড়ছেন।”





Made in India