বাংলাহান্ট ডেস্ক : সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি। দীর্ঘদিন পর ‘হাউজফুল ৫’ এর হাত ধরে বড়পর্দায় ফিরেছেন অভিনেতা ডিনো মোরিয়া (Dino Morea)। আর কামব্যাক করতে না করতেই বড়সড় বিপাকে পড়লেন অভিনেতা। ৬৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের ঘটনায় নাম জড়াল ডিনোর (Dino Morea)। মিঠি নদী পলি অপসারণ দুর্নীতির ঘটনায় কেরল এবং মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এর মধ্যেই রয়েছে ডিনোর বাসভবনও। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে তদন্ত চলছে এই মামলার।
আর্থিক তছরুপের ঘটনায় নাম জড়াল ডিনোর (Dino Morea)
এর আগে মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং এই মামলা নথিভুক্ত করেছিল। এর আগে দুবার মুম্বই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়েছিলেন ডিনো। আর এখন ইডি তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখছে বলে খবর। শুক্রবার ডিনোর (Dino Morea) বাড়িতেও ইডির টিম পৌঁছে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মিঠি নদী পলি অপসারণ কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত কেতন কদমের সঙ্গে নাকি ডিনো মোরিয়া এবং তাঁর ভাই সান্টিনো মোরিয়ার ফোনে যোগাযোগ ছিল। ইকোনমিক অফেন্সেস উইং তদন্তে নেমে একথা জানতে পেরেই অভিনেতা এবং তাঁর ভাইকে তলব করে বলে জানা যাচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা: পরপর দুদিন ডিনো (Dino Morea) হাজিরা দেন তদন্তকারী সংস্থার অফিসে। মামলার মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর কী কী বিষয়ে কথা হয়েছিল তা জানতেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘ ৮ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দুই ভাইকে। তদন্তকারীদের তরফে জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালে অভিযুক্ত কেতন কদমের স্ত্রী এবং ডিনোর (Dino Morea) ভাই যৌথভাবে একটি সংস্থা চালু করেন, যা বৈদ্যুতিক কার্ট পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে নিবন্ধিত ছিল। কিন্তু সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন সহজ করতে একে পাইপ লাইন সম্পর্কিত ব্যবসা হিসেবে দেখানো হয়েছিল বলে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে।
আরো পড়ুন : ‘বলিউডে কারোর যোগ্যতাই নেই’, রামের চরিত্রে রণবীরকে নিয়ে আপত্তি! রামায়ণ মুক্তির আগেই বিষ্ফোরক অরুণ
কী অভিযোগ অভিনেতার বিরুদ্ধে: সূত্রের তরফে আরো জানা যাচ্ছে, মিঠি নদী পরিষ্কার প্রকল্পের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সংস্থাগুলির মধ্যে ডিনোর (Dino Morea) সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থাও রয়েছে। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে তহবিল অন্যত্র সরানো হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় সরকারি কর্মকর্তা এবং কয়েকজন বেসরকারি ঠিকাদারদের নামও রয়েছে বলে খবর।
আরো পড়ুন : দূরত্ব মিটিয়ে ফের কাছাকাছি, অনুরাগীদের স্বস্তি দিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন যশ-নুসরত
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলির মধ্যে অন্যতম মিঠি নদী। মুম্বইয়ে বন্যা প্রতিরোধ করতে এই নদীখাত পরিষ্কার করতে অর্থ বরাদ্দ করেছিল প্রশাসন। সেখানে অতিরিক্ত টেন্ডার, জাল নথি গরমিলের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি কোচির একটি সংস্থার থেকে পলি নিষ্কাশনের জন্য ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে মেশিনগুলি ভাড়া করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যে অর্থ প্রদান করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে তা নাকি খরচই করা হয়নি। প্রায় ৬৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের এই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে ডিনোর।