চিহ্নিত করার উপায় নেই, উদ্ধার ৩১৯ টি ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহাংশ, দুর্ঘটনায় ঠিক কতজনের মৃত্যু?

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একদিন কেটে গিয়েছে। এখনো আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) আতঙ্ক তাড়া করছে দেশবাসীকে। দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চলছে দেহ উদ্ধারের কাজ। যাতৃথো, পাইলট এবং বিমান কর্মী সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন ওই অভিশপ্ত বিমানে। মাত্র একজন ব্যক্তিই জীবিত রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। মৃত্যু হয়েছে বাকি ২৪১ জনের। এছাড়াও যেখানে বিমান (Plane Crash) ভেঙে পড়ে সেখানেও বহু মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে।

আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় (Plane Crash) বেড়ে চলেছে মৃত্যু

বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। টেকঅফের কিছুক্ষণ পরেই বিপর্যয় ঘটে বিমানটিতে। মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে নীচে নামতে নামতে বিজে মেডিকেল কলেজ হস্টেলের উপরে ভেঙে পড়ে বিমানটি (Plane Crash)। তখন হস্টেলে অনেকেই দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। হস্টেল বিল্ডিংয়ের মধ্যে ঢুকে যায় বিমানের চাকা। ওই হস্টেল এবং আশেপাশে বহু মানুষেরই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

How many deaths reported till now in plane crash

কত জনের মৃত্যু: জানা গিয়েছে, ওই মেডিকেল কলেজ হস্টেল এবং আশেপাশে মোট ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনার (Plane Crash) জেরে। শনিবার পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ এ। তবে উদ্ধার কাজের দায়িত্বে থাকা পুর প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, মোট ৩১৯ টি দেহাংশ সরকারি হাসপাতালের হাতে তুলে দিয়েছে তারা।

আরো পড়ুন : বাবা রিকশাচালক, চাকরি পেয়ে প্রথম বিদেশ যাত্রা, মেধাবী পায়েলের স্বপ্ন কাড়ল ‘অভিশপ্ত’ বিমান!

ডিএনএ পরীক্ষা করে শনাক্তকরণ: দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে দেহগুলি কার্যত ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানান, বিমানযাত্রীদের (Plane Crash) দেহগুলি এমন ভাবে দগ্ধ হয়েছে যে আলাদা করে চেনার কোনো উপায় নেই। অনেকের দেহ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে হাত পা। পরিস্থিতি এমনই ভয়াবহ যে ডিএনএ পরীক্ষা না করে দেহ চিহ্নিত করা সম্ভবই হচ্ছে না। এমতাবস্থায় একই দেহের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ পরিসংখ্যানে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

আরো পড়ুন : কর্মজীবনের শেষলগ্নে পাইলট, কো পাইলটের সবে শুরু, ‘অভিশপ্ত’ বিমানের দুই চালকের জীবনকাহিনি চোখে জল আনবে

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭৪ জনের মধ্যে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৮ টি দেহ শণাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কফিনবন্দি করে দেহগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। দেহ শণাক্ত করতে চলছে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ। শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট নিহত বা নিখোঁজদের পরিবারের ২১৯ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে খবর।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।