বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার সামনে এসেছে মাধ্যমিকের রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির (Madhyamik Review) ফলাফল। আর তারপরেই একেবারে বিরাট রদবদল। ফলাফল প্রকাশ হতেই নম্বরে পরিবর্তন হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর। নম্বরে রদবদল হতেই মেধাতালিকাতেও জায়গা পেয়েছেন নতুন ১০ জন। কিন্তু এত জন পরীক্ষার্থীর নম্বর বদল হওয়ায় খাতা দেখার প্রক্রিয়া নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
মাধ্যমিকের রিভিউ (Madhyamik Review) এর ফলাফল প্রকাশ্যে
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির ফলাফল প্রকাশ্যে আসতে ১২ হাজার ৪৬৮ জনের নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে। আর অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের (Madhyamik Review) মধ্যেও ১ হাজার ২৩৮ জনের নম্বর বদল হয়েছে। প্রথম দশের মেধাতালিকায় স্থানাধিকারীদের সংখ্যা ৬৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ এ।
খাতায় দেখায় গাফিলতির অভিযোগ: এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় সামগ্রিক ভাবে খাতা দেখার প্রক্রিয়া নিয়েই উঠে যাচ্ছে প্রশ্ন। শিক্ষক মহলেও শুরু হয়েছে শোরগোল। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, খাতা (Madhyamik Review) দেখায় যে গাফিলতি হয়েছে তা এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এর জন্য শিক্ষকদের অভাবও অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য বিষয়ের শিক্ষকদের ভিন্ন বিষয়ের খাতা দেখতে দেওয়া হলে এমন ঘটনা ঘটবেই। তবে আগামীতে যেন এমনটা আর না হয় তার জন্য দায়িত্ব নিতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে।
আরও পড়ুন : ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১ কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার TMC নেতা, অস্বস্তিতে শাসক দল
বেড়েছে স্ক্রুটিনির ফি: স্ক্রুটিনির (Madhyamik Review) ক্ষেত্রে ফি আগের তুলনায় দ্বিগুণ, তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে অনেকে স্ক্রুটিনি করতে পারেনি বলেও অভিযোগ উঠছে। পাশাপাশি খাতা দেখার জন্য যথেষ্ট সময় শিক্ষকদের না দেওয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এর মধ্যেই আবার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : প্রাণে বাঁচেননি কেউই, অভিশপ্ত বিমানের যাত্রীদের সুটকেস থেকে কী কী উদ্ধার করা গেল?
চন্দন মাইতির কথায়, অনেক অযোগ্য শিক্ষক পড়িয়েছেন, খাতাও দেখেছেন। যোগ্য অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ না পাওয়ায় অযোগ্যদের চিহ্নিত করা যায়নি। সব মিলিয়ে খাতা দেখায় চূড়ান্ত গাফিলতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।