বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রৌঢ়ত্বের দরজায় এসে দাঁড়ালেন। ষাটের ঘরে পা রাখতেই তার জন্মদিনকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। জন্মদিনের বাজেট ১৭ লাখ ধরলেও অবশেষে ১০ লাগে গিয়ে থামলেন। তিনি এক সময় ছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী এখন সামান্য বিধায়ক। তারপরেও তাঁর টাকা খরচের বহর দেখে আজ অবাক হয়ে যেতে হয়। একজন সাধারণ বিধায়কের এতগুলো টাকা কী করে খরচ করা সম্ভব! তাই নিয়েই উঠছে হাজার প্রশ্ন।
অবশ্য বিধায়কের কথায়, তিনি নাকি প্রতি বছরই এরমভাবে টাকা খরচ করে থাকেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের জন্মদিনে কাটা হয়েছে ৭ পাউন্ডের কেক। অবশ্য এখানেই শেষ হয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য আনা হয়েছিল বাংলাদেশের নায়িকা। এমনকি পাত পেড়ে বসে খেয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। আর এই নিয়ে তাঁকে চরম সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে তাঁর জন্মদিনে বাজেট ধরা হয়েছিল ১৭ লক্ষ টাকা, সেখানে মোট খরচ হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। সারাদিন তিনি বিভিন্ন ভাবে খরচ করেছেন এই টাকা। এলাকার প্রায় ৫০০০ মানুষকে খাইয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে ৪ জন নায়ক নায়িকাকে নিয়ে এসেছিলেন বিনোদনের জন্য। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ৩রা জানুয়ারি তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যে আয়োজনের কোন খামতি হয়নি একথা বলাই বাহুল্য।
এখন প্রশ্ন হল ঠিক কী কারণে তিনি এইভাবে খরচ করেন প্রতি বছর? তাঁর সোজাসুজি জবাব ছিল যে, এটা তাঁর নিজের জন্মদিন। তিনি সেখানে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, সহকর্মীদের নিয়ে বা যাঁরা পথ চলতে তাঁর সাথে পরিচিত হন বা যাঁরা তাঁকে ভালোবাসেন, তাঁকে বিশ্বাস করেন তাঁদের সাথে তিনি একটু তাঁর জন্মদিনের খুশিটা ভাগ করে নিতে চান। তাঁর এত টাকা খরচ করে জন্মদিন পালনের আরও একটি কারণ হলো যে, বহুদিন পর ভরতপুর অঞ্চলে তৃণমূল জয়লাভ করেছে।

যদিও এই ঘটনার পর বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পক্ষ থেকে তিনি তীব্র সমালোচিত হয়েছেন। তিনি হুমায়ুনকে কটাক্ষ করে বলেন যে, হুমায়ুন যেহেতু তৃণমূলের বিধায়ক তাই ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। তৃণমূলের সবাই বিধায়ক হওয়ার জন্যই এসেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু গরীব তাঁর বিধায়ক তো ১০ লক্ষ টাকা খরচ করবেনই। এছাড়াও তাঁকে নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি হুমায়ুনকে অমুদে, হুজুগে বলে মজা করেন।





Made in India