বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘বরাবরই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেন বাবুল’ তাই প্রার্থী হিসেবে না পসন্দ তিনি। ফলে এবার তৃণমূল তথা বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে উপনির্বাচনের ময়দানে নামছেন রাজ্য ইমাম সংগঠনের প্রধান মহম্মদ ইয়াহিয়ার। এই মর্মে তৃণমূলকে রীতিমতো হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
গতকালই ট্যুইট করে দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়কে। অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রসঙ্গত, দুজনেই প্রাক্তন বিজেপি নেতা। পরবর্তীতে বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।
গতবছর ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। এককালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকায় তৃণমূলেও যে মন্ত্রীত্ব পাবেন তিনি এমন জল্পনা ছিলই। গতবছর কালিপুজোয় প্রয়াত হন বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবার সেই কেন্দ্র থেকেই বাবুলকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। কিন্তু এই প্রার্থী নাম ঘোষণা করার পরই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ভেসে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে ইমাম সংগঠনের প্রধান মহম্মদ ইয়াহিয়ার তরফে।
তাঁর অভিযোগ, ‘ বাবুল সুপ্রিয় বরাবরই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অংশ।আসানসোলের ইমামের ছেলে সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহত হয়েছিল। সেই সময় ওই এলাকার সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূল কংগ্রেসকে উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে বের করতে হবে। না হলে আমি বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে রামনবমী উদযাপনের সময় সাম্প্রদায়িক হামলায় মৃত্যু হয় আসানসোলের এক ইমামের ১৬ বছর বয়সী ছেলের। অভিযোগ সেই সময় ক্ষমতায় থাকলেও কোনও পদক্ষেপই নেননি বাবুল সুপ্রিয়।

দলবদলু বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে যে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খুব একটা পছন্দ হয়নি তা বলাই বাহুল্য। পুরভোটেও নির্দল কাঁটায় ভুগতে হয়েছে শাসকদলকে। এবারও কি ঘাস ফুল শিবিরকে বালিগঞ্জে সমস্যায় ফেলতে চলেছে সংখ্যালঘু নির্দল? নাকি ব্যাপারটি সামলাতে অন্য রাস্তা দেখছে তৃণমূল উঠছে সেই প্রশ্নই।





Made in India