বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের সাহায্য করতে রাজি হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)। কিন্তু তারা একাধিক শর্ত দিয়েছিল ধুঁকতে থাকা দেশটিকে। যেমন ডলার ক্যাপ সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক শর্ত রাখা হয়েছিল। যেমন একটি মিনি বাজেট পেশ করতে হত শাহবাজ (Shahbaz Sharif)সরকারকে। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরও বাড়তে পারত। এ নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে পাক সরকার।
এ বার আরও শর্ত দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। এগুলি না মানলে IMF-এর থেকে এক পয়সা সাহায্যও পাবে না জিন্নার দেশ। ফলে একেবারেই অন্ধকারে ডুবে যাবে ভারতের প্রতবেশী রাষ্ট্র। এর আগেও বহুবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের থেকে ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু আজ অবধি সেই অর্থ শোধ করতে পারেনি তারা। ফলে এ বার অর্থ সাহায্য পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।

আসলে IMF এবং পাক সরকারের মধ্যে ৯০০ বিলিয়ন টাকার একটি আর্থিক ব্যবধান নিয়ে অচলাবস্থা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ঘাটতি মেটালে তবেই অর্থ সাহায্য পাবে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান এই শর্ত পূরণ করতে পারছে না। পাকিস্তানকে জিএসটির হার ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ করতে বলেছে। এটি না করলে পেট্রো্লের উপর ১৭ শতাংশ জিএসটি আরোপ করার পরামর্শ দিয়েছে।

পাকিস্তানের আয়ের থেকে ব্যয় অত্যাধিক বেশি। IMF-এর তরফে জানানো হয়েছে, ৭৪৭০ বিলিয়ন টাকার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে ফেডেরাল বোর্ড অফ রেভিনিউয়ের ১৩০ বিলিয়ন টাকার ঘাটতি হবে। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানের একটি ০.৯ শতাংশের জিডিপি ঘাটতি রয়েছে। করের হার কমানো, ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য কারণের জন্য এই অবস্থা হয়েছে। প্রায় ৮০০ থেকে ৮৫০ বিলিয়ন টাকার ঘাটতি রয়েছে।
যদিও পাকিস্তানের তরফে এটি অস্বীকার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ০.৫ থেক ০.৬ শতাংশ জিডিপি ঘাটতি রয়েছে তাদের। অর্থাৎ ৪০০ থেকে ৪৫০ বিলিয়ন টাকার ঘাটতি রয়েছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে ২২ বার ঋণ দিয়েছে IMF। কিন্তু এ বার শর্ত আরও অনেক জোরদার করা হয়েছে। তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, পাকিস্তান যেন IMF-এর ঋণের টাকায় চিনের ঋণ শোধ না করে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ২৭৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ রয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক পাকিস্তানির ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ঋণ রয়েছে। দেশের ৭৫ শতাংশের বেশি রোজগারই ঋণ শোধ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।





Made in India