বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেহের তুলনায় চারগুণ বড় মাথা। ভারী ও বড় এই মাথা বেশিক্ষণ তুলে বসে থাকা যায় না। এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছোট থেকেই সঙ্গী পায়েলের। কিন্তু পায়েলের মা-বাবা লড়াই থামিয়ে দেননি। অফুরন্ত মানসিক জোরকে সঙ্গী করে চালিয়ে গিয়েছেন পায়লের পড়াশোনা। অসম লড়াই লড়তে লড়তে থেমে থাকেনি পায়েল।
টিনের চালের ছোট্ট ঘরে বসেই স্বপ্ন পূরণের বীজ বপন করেছে। বালুরঘাটের (Balurghat) কামারপাড়ার পায়েল পাল হাজার প্রতিবন্ধকতাকে (Physically Challenged) দূরে সরিয়ে চমকপ্রদ ফল করেছে উচ্চ মাধ্যমিকে। চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary Examination) পরীক্ষার্থী পায়েল পেয়েছে ৪৬০ নম্বর। শতাংশের হিসেবে যা ৯২ শতাংশ। পায়েলের কোমরের নিচ থেকে অসাড়।
আরোও পড়ুন : সেলিম চিস্তির দরগা আদপে মা কামাখ্যার মন্দির! আইনজীবীর বক্তব্যে তোলপাড়, দায়ের হল মামলা
হাঁটাচলা করতে পারে না সে। পায়েল পরীক্ষা দিতে গেছে মায়ের কোলে করে। পায়েলের বাবা পেশায় দর্জি। তার পক্ষে সংসার চালানোই দুঃসহ ব্যাপার। কিন্তু তাও ত্রুটি রাখেননি মেয়ের পড়াশোনায়। আগামী দিনে ব্যাংকের কর্মী হতে চায় পায়েল। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার চিন্তিত আগামী দিনে পায়েলের উচ্চ শিক্ষার খরচ নিয়ে।
আরোও পড়ুন : দীর্ঘদিনের দাবি মানল রেল! নয়া জংশন স্টেশন শিয়ালদহ ডিভিশনে
কলেজের খরচ কীভাবে আসবে সেই চিন্তায় এখন দু চোখের পাতা এক করতে পারছেন না পায়েলের বাবা-মা। পায়েলের চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা দেনা রয়েছে এই পরিবারের। এসব সামলে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা এখন মাথা ব্যাথার কারণ পায়েলের বাবার। রীতিমতো মুষড়ে পড়েছেন পায়েলের বাড়ির লোক।

পায়েল বাদামাইল স্কুলের ছাত্রী। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই স্কুল। জানা গেছে শুধুমাত্র অষ্টম শ্রেণীতে একবার সে দ্বিতীয় হয়েছিল। এছাড়া প্রত্যেকটি শ্রেণীতে সে চিরকাল প্রথম স্থান অধিকার করে এসেছে। এবছরও পায়েল তার স্কুলে প্রথম হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে। পায়েলের জন্য গর্বিত তার স্কুলের শিক্ষকরাও।





Made in India