বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে ভারত (India) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতেই ভারত সীমান্তে তুরস্ক থেকে কেনা বায়রাক্টার টিবি-২ ড্রোন (Bayraktar TB2 drone) মোতায়েন করল বাংলাদেশ। ভারত সীমান্তের উপর নজরদারি চালাতেই এই ড্রোন বসিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষাবাহিনী।
ড্রোনের লড়াই ভারত (India) বাংলাদেশের (Bangladesh)
নজরদারি চালানোর পাশাপাশি তুরস্কের TB-2 ড্রোন ছোটখাটো হামলা চালাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুপ্তচরবৃদ্ধি, নজরদারি ও রিকনেসান্স মিশনের জন্য এই ড্রোনগুলি পরিচালিত করে থাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সংশ্লিষ্টমহল মনে করছে, এই ধরনের ড্রোন মোতায়েন করার ফলে সীমান্তে বৃদ্ধি পেতে পারে উত্তেজনা।

যদিও বাংলাদেশের এই কৌশলকে মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত (India)। এই পরিস্থিতিতে ভারত ইজরায়েল থেকে কেনা হেরন টিপির (Heron TP drone) মতো ড্রোন সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা রয়েছে সীমান্ত এলাকায় ড্রোন বিরোধী অভিযান চালানোর।
আরোও পড়ুন : কপাল পুড়লো “Jio”র! একধাক্কায় কমলো ৭৯ লক্ষ, BSNL-এর চাপে গ্রাহকহারা আম্বানি!
প্রসঙ্গত, ইজরায়েল থেকে কেনা হেরন ড্রোনের কার্যক্ষমতা প্রায় ২৪ ঘন্টা। ২০০-২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের লাইভ ভিডিও ও ছবি তুলতে এবং পাঠাতে সক্ষম এই বিশেষ ড্রোন। স্যাটেলাইট সংযোগের এই ড্রোনগুলিতে থাকে সীমাহীন পরিসরের ট্রান্সমিশন। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে হাসিনা সরকার তুরস্ক থেকে কেনে টিবি-২ ড্রোন।

বাংলাদেশ সরকারের সাথে তুরস্কের মোট ১২ টি ড্রোনের চুক্তি হয়। এগুলির মধ্যে ৬টি টিবি-২ ড্রোন বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা। সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি চালাতে গুপ্তচরের কাজ করে টিবি-২ ড্রোন। এমনকি ছোটখাটো হামলা চালাতেও সক্ষম তুরস্কের এই ড্রোন।





Made in India