বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এশিয়া কাপের (2023 Asia Cup) দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ফিরল ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। এই ম্যাচেও থাবা বসিয়েছিল বৃষ্টি। ৫০ ওভারের বদলে ভারতীয় দলকে ব্যাটিং করতে বলা হয় ২৩ ওভার। নেপালের ২৩১ রানের টার্গেট কমে দাঁড়ায় ১৪৫। সেই রান তাড়া করতে কোনও অসুবিধাই হয়নি ভারতের।
নেপালের অনভিজ্ঞ বোলিংকে পেয়ে হাত খুলে আক্রমণ করেছেন রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। ভারতীয় অধিনায়ক ৭৪ রানে এবং গিল ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। অঘটন ঘটিয়ে ভারতকে হারিয়ে নেপাল যে নিজেদের প্রথম বড় মাপের টুর্নামেন্টে পরের রাউন্ড পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখেছিল তা আপাতত স্বপ্নই থেকে গেল।
কিন্তু একটা বিষয় যা ভারতীয় দলকে এই নেপাল ম্যাচ খেলতে গিয়ে ভাবিয়েছে তা হল ফিল্ডিং। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি প্রত্যেকেই ক্যাচ নিয়েছেন কিন্তু ভারতীয় দল বেশ কয়েকটি ক্যাচ ফেলেছে। যদি ক্যাচিং এফিসিয়েন্সি বা সফলভাবে ক্যাচ ধরার শতাংশের তালিকা দেখা হয় তাহলে দেখা যাবে ক্রিকেট বিশ্বে আফগানিস্তান ছাড়া বাকি সকল বড় দল ভারতের চেয়ে এগিয়ে।

সবচেয়ে সফলভাবে ক্যাচ ধরা দেশগুলোর তালিকা ও তাদের সাফল্যের হার:
◆ ইংল্যান্ড (৮২.৮%)
◆ পাকিস্তান (৮১.৬%)
◆ নিউজিল্যান্ড (৮০.৯%)
◆ শ্রীলঙ্কা (৭৮.৮%)
◆ অস্ট্রেলিয়া (৭৮.৫%)
◆ ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭৭.৯%)
◆ বাংলাদেশ (৭৫.৮%)
◆ দক্ষিণ আফ্রিকা (৭৫.৬%)
◆ ভারত (৭৫.১%)
তবে বুমরার অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দলের বোলিং নেপালের বিরুদ্ধেও সমস্যায় পড়েছিল। মহম্মদ সিরাজ ৩ উইকেট নিলেও অনেক রান বিলিয়েছেন। আশিফ শেখ (৫৮) ও সোমপাল কামি (৪৮) যেন আজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যে ভারতীয় বোলিংয়ের এখনো কতটা উন্নতি প্রয়োজন বিশ্বকাপের আগে। সিরাজ বাদে বাকিরা কৃপণ বোলিং করলেও যে দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২৩০ রান তুললে বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।





Made in India