বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এক ম্যাচ বাকি থাকলেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে একদিনের সিরিজেও হারের মুখ দেখলো ভারত। সিরিজে টিকে থাকতে গেলে আজ বোল্যান্ড পার্কে জয় পেতেই হতো ভারতকে। টসেও জয় পেয়েছিল ভারত। শুরুটাও আক্রমণাত্মক ভাবে করেছিলেন লোকেশ রাহুল ও শিখর ধাওয়ান। কিন্তু পেসার সরিয়ে স্পিনার আনতেই রানের গতি কমে যায়। অতিরিক্ত আক্রমন করতে গিয়ে মার্করমের শিকার হন ধাওয়ান। খাতা খোলার আগেই কেশব মহারাজের শিকার হন বিরাট। এরপর রাহুলকে সাথে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের রাস্তা বেছে নেন রিশভ পন্থ। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। ৭৯ বলে ৫৫ রানের সতর্ক ইনিংস খেলে সিসান্ডার শিকার হন রাহুল। ৭১ বলে ৮৫ রান করে লেগস্পিনার শামসির শিকার হন পন্থ।।
একসময় সহজেই ৩০০ পেরোতে পারে মনে হলেও পন্থ আউট হওয়ার পর চিন্তা বেড়েছিল ভারতের। রানের গতি কমে গিয়েছিল। মাত্র ১১ রান করে আউট হন শ্রেয়স আইয়ারও। ৩৩ বলে ২২ রান করে ফিরে যান ভেঙ্কটেশ আইয়ারও। কিন্তু শেষদিকে শার্দূল ঠাকুরের ৩৮ বলে ৪০ এবং অশ্বিনের ২৪ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রান তোলে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খরুচে বোলিং করেও ২ উইকেট নেন তাবারাজ শামসি। একটি করে উইকেট মাগালা, মার্করম, মহারাজের।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরু থেকে আক্রমণের পথ বেছে নেন কুইন্টন ডি কক। অপর ওপেনার জানেমন মালান এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। ৬৬ বলে ৭৮ রান করে শার্দূল ঠাকুরের শিকার হয়ে ফেরেন ডি কক।

এরপর বুমরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৯১ রান করা জানেমন। এরপর চাহাল গত ম্যাচে শতরানকারী বাভুমা-কে ফিরিয়ে একটা ক্ষীণ আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু যাবতীয় আশায় জল ঢেলে দেন গত ম্যাচের নায়ক ভ্যান ডার ডুসেন। এইডন মার্করম-কে সঙ্গে নিয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তারা। দুজনেই অপরাজিত থাকেন ৩৭ রান করে।





Made in India