বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লিডসে গতকাল মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচ বাঁচানোই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে ভারতের কাছে। তবে তৃতীয় দিনটা অন্তত নিজেদের নামে করতে সক্ষম হল মেন ইন ব্লু। আজ শুরু থেকেই যেন এক অনন্য মনোবল নিয়ে মাঠে নেমেছিল বিরাট বাহিনী। অল্প সময়ের মধ্যেই ওভারটন এবং রবিনসনকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ করে দেন শামি এবং বুমরাহ। কিন্তু স্কোরবোর্ডে রান তখন ৪৩২। অর্থাৎ ভারত পিছিয়ে ৩৫৪ রানে।
এই বিশাল রানের বোঝা নিয়ে খেলতে নেমে দ্রুতই ভারত হারিয়ে ফেলে ওপেনার কে এল রাহুলকে। যার জেরে কাজটা হয়ে গিয়েছিল আরও কঠিন, কিন্তু আজ ভারতের ত্রাতা হয়ে ওঠেন সমালোচনায় বিদ্ধ পুজারা এবং ইংল্যান্ডে ভালো ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা। রোহিতের ৫৯ রানের ইনিংসে আজ একদিকে যেমন ছিল ধৈর্যের ছাপ, তেমনি অন্যদিকে ছিল খারাপ বলকে বাউন্ডারিতে পাঠানোর অদম্য জেদ। শেষ পর্যন্ত সাতটি চার এবং একটি ছয় দিয়ে সাজানো এই ইনিংস শেষ করে দিয়ে রবিনসন একবার বড় ধাক্কা দিলেও আজ পুজারাকে টলানো কার্যত ছিল অসম্ভব।
তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত সমালোচনার জবাব দিতে আজ যেন তৈরি ছিলেন তিনি। আজ তার স্ট্রাইক রেটও ছিল দুর্দান্ত। শুরুতেই মাত্র ৯১ বলে নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আর যেকোনও বাধার বিরুদ্ধে দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে তিনি প্রস্তুত। অন্যদিকে রোহিত সঙ্গ ছাড়ার পর পূজারার সঙ্গী হিসেবে আজ ক্রিজে সুন্দর ইনিংস উপহার দিলেন কোহলিও। বিপক্ষের ক্যাপ্টেন যখন একের পর এক শত রান করছেন, তখন রান মেশিন কোহলির ব্যাট ছিল কার্যত নিস্তব্ধ। যার জেরে যথেষ্ট সমালোচনা বিদ্ধ হতে হচ্ছিল তাকেও।

সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ২০১৪ সালের সেই পুরনো রোগ। অর্থাৎ বাইরের বলকে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেওয়া, কিন্তু আজ ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে কোনও ভুল করেননি কোহলি। একদিকে যেমন অ্যান্ডারসনকে দিয়েছেন যোগ্য সম্মান, তেমনই আবার বল একটু সামনে পড়লেই বাউন্ডারি দেখাতেও কোন ভুল করেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত দিনশেষে আজ ভারতের স্কোর ২ উইকেটের বিনিময় ২১৫। একদিকে যেমন ১৫ টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৯১ রানের ইনিংস খেলে নট আউট রইলেন পুজারা। তেমনি অন্যদিকে হাফ ডজন বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৪৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিলেন কোহলি। যদিও ভারত এখনও পিছিয়ে ১৩৯ রানে আজকের পরীক্ষায় যে তারা পাশ করল তা বলাই বাহুল্য।





Made in India