বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার ‘পাল্টা শুল্কনীতি’ চিন্তা বাড়িয়েছে নয়া দিল্লির। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের আগেই ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতের (India) উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যে ভারতের (India) পরিকল্পনা
এরপর ফের ভারতকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করলেন, শুল্ক হ্রাস করতে সম্মত হয়েছে ভারত। এদিন ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত আমাদের ওপর অনেক শুল্ক চাপায়। অনেক। ভারতে কিছু বিক্রি করা যায় না। তবে এখন তারা শুল্ক কমাতে সম্মত হয়েছে। কারণ অবশেষে কেউ অন্তত তাদের পর্দা ফাঁস করছে।’ গত তিনদিনে এই নিয়ে তিনবার ট্রাম্পের মুখে উঠে এল ভারতের শুল্ক নীতি প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন : দোলের আগেই আবহাওয়ার বিরাট বদল! দক্ষিণবঙ্গে জারি হতে হবে সতর্কতা? আবহাওয়ার আগাম খবর
এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দাবি করেন, ‘ভারত তাদের শুল্ক অনেকটাই কমিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। ওরা আমাদের উপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। এত চড়া শুল্কের হারের জেরে ওখানে আমাদের ব্যবসা খুবই কম। মার্কিন পণ্য প্রায় নিষিদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি ওখানে। তবে এটা নিয়ে হইচই হওয়ার পর এখন ওরা শুল্ক অনেকটাই কমাতে রাজি হয়েছে।’
আরও পড়ুন : একটি মন্তব্যেই কেরিয়ার শেষ! কমেডি শো মামলায় অসম পুলিশের কাছে হাজিরা রণবীরের
অন্যদিকে, ভারতের (India) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাকে আরও বাড়াতে পারে। দুই দেশের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারে। এই চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে উভয় সরকারই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ভারত-আমেরিকা যাতে একে অপরের দেশে পণ্য এবং পরিষেবা বিক্রি করতে পারে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকের আগেই সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেন। সেই সময়ে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন ভারতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত মার্কিনী পণ্যের উপর অপেক্ষাকৃত বেশি শুল্ক আরোপ করে। এবার থেকে মার্কিনী পণ্যের উপর ভারত যে হারে শুল্ক চাপাবে, সেই হারে ভারতীয় পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক চাপাবে মার্কিন প্রশাসন।





Made in India