বাংলাহান্ট ডেস্ক: মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) দেশে ফেরানোর মামলায় বড় ধাক্কা খেল ভারত ও সিবিআই। মেহুলের বিরুদ্ধে জারি করা ‘রেড কর্নার নোটিস’ প্রত্যাহার করে দিল ইন্টারপোল (Interpol)। ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার প্রধান অভিযুক্ত হলেন মেহুল চোকসি। এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। তাঁকে নিজেদের হেফাজইতে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI)। কিন্তু ইন্টারপোলের এই পদক্ষেপের জেরে বড় ধাক্কা খেল ভারত।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটেও ‘রেড কর্নার নোটিসের’ কোনও উল্লেখ নেই। ভারতে মেহুল চোকসির আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল বলেন, “আইনি দলের প্রচেষ্টার কারণে, আমার মক্কেলের আরসিএন বাতিল করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “অবশেষে সত্যের জয় হয়েছে।” আপাতত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু ইন্টারপোলের কোন সভাপতি মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস খারিজ করলেন?

বর্তমানে ইন্টারপোলের সভাপতির পদে রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মেজর জেনারেল আহমেদ নাসের আল-রইসি (Ahmed Naser Al-Raisi)। ২০২১ সালের নভেম্বরে ইস্তানবুলের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হন আল-রইসি। আগামী ২০২৫ সাল অবধি তিনি ইন্টারপোলের সভাপতি হিসেবে কাজ করবেন। ১৯৮০ সালে তিনি আবু ধাবি পুলিশে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ অবধি তিনি ফরেন্সিক সায়েন্স ইনস্টিটিউটের প্রধান ছিলেন। ২০১৫ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে মহাপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা নির্বাচিত হন ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট। চার বছর মেয়াদের জম্ন্য নির্বাচিত হন তিনি। জানিয়ে রাখি, ইন্টারপোল প্রধানের পদটি খণ্ডকালীন এবং অবৈতনিক। অর্থাৎ এই পদে কাজ করার জন্য কোনও বেতন পান না আল-রইসি। তিনিই মেহুল চোকসিকে বড় স্বস্তি দিয়েছেন বলে খবর। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মেহুল চোকসির তরফে ইন্টারপোলের কাছে একটি পিটিশন দেওয়া হয়। ২০২১ সালে কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ করেছিলেন মেহুল।
উল্লেখ্য, মেহুল চোকসির মতে, তাঁকে কিছু ভারতীয় গোয়েন্দা অপহরণ করেছিলেন। তারপর তাঁরা তাঁকে নিয়ে যান ডমিনিকায়। প্রসঙ্গত, আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ফেঁসে ২০১৮ সালে মেহুল চোকসি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর কয়েকদিন পরেই সিবিআই তাঁকে এবং তাঁর ভাইপো নীরব মোদীকে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। কিন্তু ভারত থেকে পালিয়ে তিনি অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন।





Made in India