বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আবারও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা। ট্রফি জয় যেন এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। যে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্স ব্রাজিলকে পর্যন্ত মারাত্মক বিপাকে ফেলেছিল, সেই ডিফেন্সকে অবলীলায় চূর্ণ করলেন মেসিরা। ৩-০ ফলে জিতে ২০১৪ সালের পর আবারো একবার বিশ্বের সর্বোচ্চ ফুটবল সম্মান জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে তারা। লিওনেল মেসির হাতে ট্রফি ওঠা এখন যেন শুধুমাত্র একটা আনুষ্ঠানিকতা।
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা, তা দেখে আর কোন প্রতিপক্ষই তাদের নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে না। আজ রাতের খেলায় জিতে মরক্কো বা ফ্রান্সের মধ্যে যারাই ফাইনালে উঠুক, তারা দ্বিতীয় পছন্দ হিসাবে ফাইনালে পা রাখবেন, সেটাও একপ্রকার নিশ্চিত।
কাল দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য লিওনেল মেসিকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মেসি ভালো পারফরমেন্স করেছেন এটা মেনে নিও অনেকে বলছেন যে কাল ম্যাচের ফেরার পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল জুলিয়ান আলভারেজের। কাল আর্জেন্টিনার তিনটি গোলেই তার বড় অবদান ছিল।

প্রথম গোলের ক্ষেত্রে তিনি বিপজ্জনকভাবে অফসাইড ট্র্যাপকে বিট করে ক্রোয়েশিয়ার পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর বলটি গোলের দিকে ঠেলে দেওয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। রেফারি বিতর্কিতভাবে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি দেন যেখান থেকে গোল করে দেশকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় গোলটির সময় নিজের শরীরের মোচড়ে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্সকে চূর্ণ করে অনবদ্য ভঙ্গিতে গোল করেন আলভারেজ নিজেই। তৃতীয় কলটি তৈরি হয়েছিল মেসি ম্যাজিকের কারণে, আলভারেজকে শুধু ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে হতো যেটা তিনি নিখুঁতভাবে করেছেন।
এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরে পেলের সঙ্গে একই সারিতে বসতে পারেন আলভারেজ। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের তরুণ পেলেকে বাদ দিলে জলিয়ানে আলভারেজ সর্বকনিষ্ঠ এমন ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে একের বেশি গোল করেছেন। ফাইনালে আর্জেন্টিনার জয় মেসির পাশাপাশি তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন এমনটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়।





Made in India