বাংলা হান্ট ডেস্কঃ 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই দলে ভাঙন অব্যাহত। একের পর এক নেতারা বিজেপি ছেড়ে শাসকদলে প্রত্যাবর্তন করে চলেছেন তো আবার অপরদিকে দলের ভিতরে নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ ক্রমশ উঠে আসতে শুরু করেছে। সেই পরিস্থিতি মাঝে এ সপ্তাহে দুদিনের বঙ্গ সফরে আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আগামী 7 এবং 8 ই জুন বঙ্গ সফরে আসার পাশাপাশি কলকাতাতে বৈঠকও করবেন তিনি। তবে জেপি নাড্ডার এই সফরকে এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “জেপি নাড্ডার সাংগঠনিক বৈঠক হলো আসলে গরুর গাড়ির হেডলাইট। তিনি যাদের নিয়ে বৈঠক করবেন, তারা কয়েক মাস পর আদৌ বিজেপি দলে থাকবে কিনা, সেটাই সন্দেহ। কারণ, এখন ওই দলে আর কেউ থাকতে চাইছে না। তাছাড়া উনি বৈঠকে যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন, তা আমরা হোয়াটসঅ্যাপে জেনে যাব।” কুণাল ঘোষের এহেন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় জল্পনা।
উল্লেখ্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বঙ্গ সফরের সূচি বর্তমানে নির্দিষ্টভাবে প্রকাশিত না হলেও মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে বাংলায় সংগঠনের দিকটি খতিয়ে দেখার জন্যই তিনি আসছেন বলে খবর। একে একে যেভাবে দলের মধ্যে ভাঙন থেকে শুরু করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে, তা দীর্ঘায়িত হলে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল ভালো হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সেই কারণেই দলীয় কর্মীদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করাই বর্তমানে মূল উদ্দেশ্য বিজেপি কেন্দ্র নেতৃত্বের।

এই সফরে দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের দায়িত্ব আরো বাড়ানো হতে পারে বলেও খবর সামনে উঠে আসছে। জেপি নাড্ডার এই সফর প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “উনি আসছেন, আসুন। তবে বাংলা দখল করার কথা যেন উনি না ভাবেন, কারণ বাংলার মানুষ বিজেপিকে আগেই প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। ফলে বাংলার ওপর ওদের আর ভরসা করে লাভ নেই।”





Made in India