বাংলাহান্ট ডেস্ক: লতা মঙ্গেশকরের (lata mangeshkar) মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ভারতীয় সাংষ্কৃতিক মহলে। নাইটিঙ্গেলের প্রয়াণে এখনো পর্যন্ত শোকস্তব্ধ গুণমুগ্ধরা। অথচ তাঁর মৃত্যুর পরের দিনই লতা মঙ্গেশকরকে টেনে আনা হয়েছে রাজনীতির আখড়ায়। তাঁর স্মরণে স্মৃতিসৌধ বানানো হবে কিনা তা নিয়ে নোংরা কাদা ছোড়াছুড়ির খেলা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টা নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ গায়িকার ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।
কিংবদন্তি গায়িকার মৃত্যুর পরদিনই তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। দাদারের শিবাজি পার্কে সুরসম্রাজ্ঞীর নামে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করার দাবি তোলে বিজেপি। অন্য দিকে শিব সেনা এই দাবির বিরোধিতা করেছে। তবে কিংবদন্তি গায়িকাকে শ্রদ্ধা জানাতে অমূল্য কিছু করার চিন্তা ভাবনা করছে তারা।

পাশাপাশি দাদার বাসীও বিজেপির দাবির বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নামে করা শিবাজি পার্কটি খোলামেলা খেলার উদ্যানই থাকুক শিশুদের জন্য। রাজনৈতিক দলগুলির নোংরা প্রতিযোগিতায় পার্কটি নষ্ট হয়ে যাক এমনটা তারা চান না।
এবার লতা মঙ্গেশকরের ভাই তথা প্রখ্যাত সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “এর আগে উদ্ধব ঠাকরে ও আদিত্য ঠাকরে লতা মঙ্গেশকরের কাছে একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর নামে একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। আমরা চাই সেই ঐতিহ্যটা বজায় থাকুক, তাঁর গানের শৈলী জীবন্ত হয়ে থাকুক। আমরা যদি ওঁর ঐতিহ্যটা সেলিব্রেট করতে চাই তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই সমর্থন করব। স্মৃতিসৌধের নয়।”
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকরে। গায়িকার বোন উষা মঙ্গেশকর তাঁর মৃত্যুর খবর জানান সংবাদ মাধ্যমকে। রবিবারই বিকেলে শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর।





Made in India