বাংলহান্ট ডেস্ক: বিভিন্ন চাকরিতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ছুটি চাওয়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। কিছু কারণ গুরুতর হয়। আবার কিছু কারণ রীতিমতো হাস্যকর। এমনও কারণ দেখা যায়, যা রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো। সম্প্রতি এমন এক কারণ দেখিয়ে ছুটি নেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এক মাস আগে বিয়ে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh Police) এক কনস্টেবলের। কিন্তু তাঁর জীবনে সুখ-শান্তি নেই। যার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এক মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ওই কনস্টেবলের। স্ত্রীকে তিনি কথা দিয়েছিলেন, বিয়ের পর ছুটি নিয়ে বাড়ি আসবেন। স্ত্রীয়ের সঙ্গে সময় কাটাবেন। কিন্তু পুলিশের চাকরি হলে যা হয়, তিনি তা করতে পারেননি। এতেই বেজায় চটেছেন স্ত্রী। এখন ওই কনস্টেবল স্ত্রীকে ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেন না। এই কারণে প্রচণ্ড দুঃখে দিন কাটছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ওই কনস্টেবলের। তাই লিখিত আবেদন করে কয়েকদিনের ছুটি চেয়েছেন তিনি।

তাঁর আবেদন, কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায়। সেখানে ভারত-নেপার সীমান্তে একটি থানা রয়েছে। এই থানাতেই কর্মরত ওই কনস্টেবল। পুলিশ সুপারকে লেখা তাঁর আবেদন ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর আবেদনে লেখা, “বিয়ের পর বাড়ি না যেতে পারায় আমার স্ত্রী আমার ফোন কেটে দিচ্ছে। কখনও আবার মাকে ফোন ধরিয়ে দিচ্ছে। এই কারণে আমার ছুটির প্রয়োজন।”

ওই কনস্টেবল জানিয়েছেন, মাত্র এক মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তারপরেই কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। ফলে স্ত্রীয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়নি। স্ত্রীকে তিনি বলেছিলেন যে ভাইপোর জন্মদিনে বাড়ি যাবেন। তাই লিখিত আবেদনে সাত দিনের ছুটি চেয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, কনস্টেবল মাউ জেলার বাসিন্দা। ২০১৬ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ভাইপোর জন্মদিন উপলক্ষে সাত দিনের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর স্ত্রী রেগে আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, তাঁর ছুটি মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু সাত দিন নয়, পাঁচ দিনের জন্য। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ছুটি চালু হবে কনস্টেবলের। পুলিশকর্মীর আবেদন ভাইরাল হওয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, কর্মরত পুলিশকর্মীদের তাঁদের চাহিদার ভিত্ততে ছুটি দেওয়া হয়। পাশাপাশি এও দেখা হয় যাতে কারও ছুটি নেওয়ার জন্য শান্তিরক্ষার ব্যবস্থায় কোনও বিঘ্ন না ঘটে।
 
			 





 Made in India
 Made in India