বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একেবারে শেষ দফায় ভোট (Lok Sabha Election) রয়েছে যাদবপুরে। আগামী ১ জুন নির্বাচন হবে রাজ্যের এই হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম- তিন দলের তরফ থেকেই হেভিওয়েট প্রার্থীদের দাঁড় করানো হয়েছে এখানে। তবে এবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের (Jadavpur Lok Sabha Constituency) অধীন টালিগঞ্জ বিধানসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নাকতলা (Naktala) এলাকায়। গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ সেই ওয়ার্ডে লাগানো গেরুয়া শিবিরের একাধিক পতাকা, ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজেও সেই ছবি ধরা পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
নাকতলা উদয়ন সংঘ ক্লাবের সামনে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজে যে যুবকদের দেখা যাচ্ছে তাঁরা এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসের (ডাবলি) লোক। ভোটের আবহে এলাকায় দাপিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের ভীত সন্ত্রস্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর গিয়ে বিপাকে মিঠুন! মহাগুরুর রোড শো-য়ে বোতল, ইটবৃষ্টি, তারপর যা হল … তোলপাড়!
শুধু বিজেপি নয়, কয়েকদিন আগে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অনির্বাণের পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর করা হয়েছে। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। যাদবপুরের পদ্ম প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলির দাবি, ভয় পেয়ে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে শাসক দল। তিনি বলেন, এলাকায় রীতিমতো মাফিয়ারাজ চালাচ্ছে শাসক দল। হেরে যাওয়ার ভয়ে বেছে বেছে বিজেপিকে আক্রমণ করছে তারা। সেই সঙ্গেই পতাকা ছেঁড়া, প্রচারের অনুমতি না দেওয়ার মতো কাজও করা হচ্ছে।

অনির্বাণের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনের একটা অংশ সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। পদ্ম প্রার্থী বলেন, আমাদের র্যালির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফ্লেক্সের অনুমতি নেওয়ার পরেও রাতের অন্ধকারে তা ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার এই নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। তবে অনির্বাণের দাবি, এতকিছুর পরেও যাদবপুরে জিততে পারবে না তৃণমূল। এই আসনে এবার পদ্ম ফুটবে বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূলকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।





Made in India