বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ হিন্দিতে একটি প্রবাদ আছে, যেটি বলে ‘দেনেওয়ালা যব ভি দেতা, দেতা ছাপ্পর ফাঁড়কে’। এই প্রবাদের অর্থ হল যখন কোন মানুষের ভালো সময় উপস্থিত হয় তখন তার সঙ্গে সবকিছুই ভালো হতে থাকে। ঠিক এমনটাই হলো মধ্যপ্রদেশের এক ক্রিকেটপ্রেমীর সাথে। আইপিএল (IPL 2023) চলাকালীন একটি গেমিং অ্যাপসে বিভিন্ন কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করছিলেন তিনি। টিম বানাচ্ছিলেন, ম্যাচের ফলাফল আন্দাজ করছিলেন এবং সেখান থেকেই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি।
এই গল্পটি মধ্যপ্রদেশে বসবাসকারী যুবক শাহাবুদ্দিন মনসুরের গল্প। তিনি প্রায় দু বছর ধরে একটি বিশেষ গেমিং অ্যাপসে খেলার আগে দল তৈরি করে নিজের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করছিলেন বড় প্রাইজ মানি জিতে। গত রবিবার একটি নির্দিষ্ট কম্পিটিশনে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন ৪৯ টাকার বিনিময়ে। তিনি ওই কম্পিটিশনে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং পুরস্কার হিসেবে পান দেড় কোটি টাকা। এত বড় অর্থ জয়ের কথা কোনদিনও স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি বা তার পরিবার। রাতারাতি জীবন বদলে গিয়েছে তাদের।
পেশায় ভাড়া গাড়ির ড্রাইভার শাহাবুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে নিজের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সত্যি সত্যি যে তার কপাল তাকে এমন সঙ্গে দেবে তা হয়তো তিনি নিজেও কল্পনা করেননি। জানা গেছে এই দেড় কোটি টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা আপাতত তিনি তুলে নিয়েছেন যার মধ্যে থেকে ছয় লাখ টাকা ট্যাক্স হিসেবে কেটে নেওয়া হয়েছে এবং বাকি ১৪ লাখ টাকা তার অ্যাকাউন্টে থাকছে।
এতদিন বাড়াবাড়িতে থাকতে হতো তাকে ও তার পরিবারকে। এই বিশাল অঙ্কের টাকা জিতে এখন তার প্রথম লক্ষ্য একটি নিজের বাড়ি নির্মাণ করা। তার পরিবার এবং তার নিজের খুশির এখন সীমানা নেই আচমটাই যেন নিজের আত্মীয়-স্বজনের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছেন এবং বন্ধু-বান্ধবরাও ফোন করে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তার দেখাদেখি এখন হয়তো অনেকেই উৎসাহিত হয়ে এই গেমিং অ্যাপসের আরো বেশি করে টাকা বিনিয়োগ করবেন। কিন্তু তাদের মাথায় রাখা দরকার যে এমন ভাগ্য লাখে একজন মানুষেরই হয়।

প্রসঙ্গত কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের সেই ম্যাচে নাইট রাইডার্স ৭ রানের ব্যবধানে হেরেছিল। ওই বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রামতারা করতে নেমে ডার্কওয়াথ লুইস নিয়মে নির্ধারিত স্কোরের থেকে ৭ রানে পিছিয়ে ছিল নাইটরা। তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ ইডেন গার্ডেন্সে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে।





Made in India