বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি হিন্দুদের একটি উৎসব চলাকালীন উক্ত স্থানে হিন্দু ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের মানুষকে প্রবেশ না দেওয়া প্রসঙ্গে একটি মামলা দায়ের করা হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টে(Madras Highcourt)। এদিন সেই মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করল আদালত। হাইকোর্টের দাবি, “অন্য কোন ধর্মের মানুষ যদি হিন্দু(Hindu) ধর্ম ও তাদের দেবদেবীর প্রতি ভরসা রাখে এবং তাদের পুজো করতে চায়, তবে সেখানে বাধা দেওয়ার কোনো রকম প্রশ্ন ওঠে না। এক্ষেত্রে সকলের জন্যই প্রবেশদ্বার খুলে রাখা উচিত।” পরবর্তীতে এই আবেদনটি খারিজ করে দেয় আদালত।
এদিন মামলাটি মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি পি এন প্রকাশ এবং আর হেমলতার ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। আসলে তিরুভাত্তরে কুম্বাবিশেগাম উৎসব চলাকালীন হিন্দু ব্যতীত অন্য ধর্মের মানুষের প্রবেশ রোখার জন্যই মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অবশ্য এদিন শুনানি শেষে সেই মামলাটি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য সি সোমন নামে এক ব্যক্তি এই মামলাটি দায়ের করেন। আসলে ঘটনাটির সূত্রপাত হয় কুম্বাবিশেগাম উৎসবের আমন্ত্রণ পত্রে উল্লেখিত এক মন্ত্রীর নাম থেকে। জানা গিয়েছে যে, আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখিত মন্ত্রী একজন খ্রিষ্টান। ফলে হিন্দুদের উৎসবে তিনি কিভাবে উপস্থিত থাকতে পারেন, তা নিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে এদিন শুনানি চলাকালীন আদালত জানায়, “যখন কোন বড় ধরনের উৎসব হয়, তখন সেখানে কারোর ধর্মীয় পরিচয় থেকে শুরু করে অন্যান্য তথ্য দেখা এবং পরবর্তীতে তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব হয় না।”
এক্ষেত্রে আদালতের তরফ থেকে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হয়। খ্রিষ্টান ডা. কেজে ইয়েদুদাসের ভক্তিমূলক গান বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীর মন্দিরের বাজানো প্রসঙ্গে মন্তব্য করে আদালত। হাইকোর্ট জানায়, “বর্তমানে খ্রিষ্টানদের চার্চে বহু হিন্দু ধর্মের মানুষেরা যাতায়াত করে। ফলে যে কোন ধর্মের মানুষ যদি হিন্দু দেব-দেবীতে ভরসা করে কিংবা তাদের পূজাতে মগ্ন থাকে, তাহলে তাকে মন্দির কিংবা কোনো উৎসবে প্রবেশ করা থেকে আটকানো উচিত নয়।”

আদালত আরো বলে, “এছাড়াও কুম্বাবিশেগামের মতো বড় উৎসবে কখন কে প্রবেশ করছে কিংবা কি তার ধর্মীয় পরিচয়, তার পর্যবেক্ষণ করা কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়।” ফলে এদিন কার্যত এই মামলাটি খারিজ হয়ে যায় আদালতে।





Made in India