বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ভারতের (India) অন্যতম বৃহত্তম স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিক্যাল (SUV) প্রস্তুতকারক মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা (Mahindra & Manhindra) এবার বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে তার উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ফান্ডসের জন্য বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, মাহিন্দ্রা গ্রুপ জানিয়েছে যে, তারা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ টি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চ করবে। এই প্রসঙ্গে রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মাহিন্দ্রা গ্রুপ ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল (EV) ইউনিটের জন্য ৫,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (BII) এবং আরও কিছু গ্লোবাল বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।
এমতাবস্থায়, মাহিন্দ্রা ইলেকট্রিক অটোমোবাইলসের প্রসঙ্গে আলোচনা একটি অনুকূল সিদ্ধান্তে পৌঁছলে, ব্রিটিশ ফাইন্যান্সার এই ভারতীয় গ্রূপে তার দ্বিতীয় দফার বিনিয়োগ সম্পন্ন করবে। এদিকে সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই চুক্তির ভ্যালুয়েশন ফান্ডিং পূর্ববর্তী রাউন্ডের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি হতে পারে। যেখানে মাহিন্দ্রার ইভি সাবসিডিয়ারি সংস্থার মূল্য ছিল ৭০,০৭০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য যে, ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (BII) এর আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে মাহিন্দ্রা ইলেকট্রিকের সাথে ১,৯২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। মূলত, ক্রমবর্ধমান স্থানীয় প্রতিযোগিতার মধ্যে, মাহিন্দ্রা তার EV ব্রাঞ্চের জন্য ফান্ডিংয়ের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু করেছে।
কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে যে, মাহিন্দ্রা ২০২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৭-এর অর্থবর্ষের মধ্যে তার EV সাবসিডিয়ারিগুলিতে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার ক্যাপিট্যাল এক্সপেন্ডিচারের রূপরেখা তৈরি করেছে। এর মধ্যে ৪,০০০ কোটি টাকা ২০২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৪-এর অর্থবর্ষের মধ্যে এবং বাকিটা ২০২৭ পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হবে।

এদিকে, গত এপ্রিল থেকে ২০২৫-এর অক্টোবরের মধ্যে মাহিন্দ্রা ৫ টি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেল লঞ্চ করার পরিকল্পনাও করেছে। ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা আশা করছে যে, তার সামগ্রিক SUV পোর্টফোলিওর মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক SUV-র প্রবেশ ঘটবে। এদিকে, গত মে পর্যন্ত, Mahindra & Mahindra-এই বছরের জানুয়ারিতে লঞ্চ করা XUV-400-র ৩,৬৯০ ইউনিট বিক্রি করেছে। যা ওই সময়ের মধ্যে বিক্রি হওয়া মোট যাত্রীবাহী গাড়ির প্রায় ২.২ শতাংশ স্থান দখল করেছে।





Made in India