বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভার অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধীদের ‘কেষ্ট’ কটাক্ষ আর তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জবাব ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট! কেষ্টকে ‘বীর’ বলতে গিয়ে এদিন বীরপুরুষ কবিতার উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কবিতাটির লেখক পরিচিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে, যা নিয়ে চাঞ্চল্য তুঙ্গে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
এর মাঝেই সম্প্রতি দলীয় অধিবেশন থেকে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ‘বীর’ আখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হবে জেল থেকে।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে।
উল্লেখ্য, এদিন বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার সময় বিজেপির বেঞ্চ থেকে আচমকাই বলা হতে থাকে, “কেষ্ট বীর, কেষ্ট বীর”। তাদের এই কটাক্ষের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, “অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই। প্রেমেন্দ্রনাথ মিত্রের একটা কবিতা আছে, বীরপুরুষ। যদি না পড়ে থাকেন, তাহলে পড়ুন। দু লাইনও তো ভালো করে বলতে পারেন না।”
তবে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসা কবিতাটির লেখক পরিচিতি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এক্ষেত্রে মমতার বক্তব্যে উঠে আসা বীরপুরষ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। তবে এক্ষেত্রে উনি প্রেমেন্দ্রনাথ মিত্র কেন উল্লেখ করলেন, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে এদিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা আর নতুন কি? উনি এর আগে রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে গান্ধীজীর মুখে ফলের রস তুলিয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত দিয়ে, যিনি ১৯৪১ সালে মারা যান। আজ বীরপুরুষ কবিতাটির লেখক বললেন প্রেমেন্দ্রনাথ মিত্রকে।”





Made in India