বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় বকেয়া আদায় করার জন্য রেড রোডে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্না মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে মুখ্যমন্ত্রী এক হাত নিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সম্পূর্ণ ভুলে ভরা ক্যাগ রিপোর্ট। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া চিঠি দিয়েছেন। যেখানে হিসাব দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকার।
আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্যাগের মত সংস্থা এই ধরনের অসত্য রিপোর্ট দিয়েছে। যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি। চিঠিতে লিখেছি যে, সংশ্লিষ্ট দফতর সময়ে সময়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়েছে। প্রত্যেকটার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট গিয়েছে। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ওরা মিথ্যেবাদী। সব হিসেব দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বিকৃত তথ্য দিয়েছে। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকে না।”
আরোও পড়ুন : DA মামলা নিয়ে বড় আপডেট, সুপ্রিম শুনানির আগেই নয়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত আন্দোলনকারীদের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুধবার দিল্লিতে ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে তৃণমূলকে নিশানা করে বলেছেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজ্য সরকারকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয়। তা থেকেই বোঝা যায় যে, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা কোন খাতে কত খরচ হয়েছে। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। এই ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব কই?”
আরোও পড়ুন : একেবারে ভেস্তে যাবে সুন্দরবন সফর! পর্যটকদের জন্য জারি হল নিষেধাজ্ঞা, যাওয়ার আগে সাবধান
একই সাথে তাঁর দাবি, “ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের টাকা। দুর্নীতির এটা নতুন একটা পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে কেউ জানে না। কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে খরচ করা হয়েছে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।”

একইসঙ্গে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়েও তোপ দাগেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। কাজও বন্ধ। বাংলা কি দোষ করল? ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তো অনেক প্রশ্ন হল। কিন্তু টাকা কোথায়? গরিব মানুষকে ভাতে মারবে বলে টাকা বন্ধ রেখেছ। কেন্দ্র ভাবছে বাংলাকে ভাতে মারবে। কিন্তু অত সহজ নয়!”





Made in India