বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোন পথে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে (Bengal Recruitment Case) দুর্নীতি? এবার মুখ খুললেন শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। নিয়োগে দুর্নীতির দায় পুরোপুরি নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে জেলর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দিকে ঠেললেন জোড়াফুল বিধায়ক।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মানিক জামিন মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিধায়কের আইনজীবী বলেন, ‘‘দুর্নীতি যে পর্ষদেই হয়েছে তার কী প্রমাণ রয়েছে? জেলায় জেলায় যে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ রয়েছে তারাও তো দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে পারে!”
মানিকের আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘নিয়োগের জন্য প্যানেল তৈরি করে জেলায় জেলায় যে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ রয়েছে সেখানে পাঠিয়ে দেয় পর্ষদ। পর্ষদের তরফে কোনও দুর্নীতি হয়েছে তার কী প্রমাণ রয়েছে? হতেই পারে পর্ষদ থেকে নিয়োগের যে তালিকা পাঠানো হত সেই অনুযায়ী নিয়োগপত্র দেয়নি সংসদ।”
অর্থাৎ, কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তা পর্ষদের বদলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের মাধ্যমেও হয়ে থাকতে পারে এমনটাই ইঙ্গিত করেন আইনজীবী। মক্কেলের পক্ষে সওয়াল করে তিনি আরও বলেন, “হতেই পারে কেউ ওনার (মানিক) নাম করে টাকা তুলেছে। এতে ওনার দোষ কোথায়? এখানে কী ওনাকে দোষী বলা যায়? ”
আরও পড়ুন: রাতেই শুরু ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব! তড়িঘড়ি সতর্কতা জারি করল নবান্ন, দুর্যোগের তালিকায় দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা
এই কথা শুনে বিচারপতি ঘোষ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, “পর্ষদের অনুমতি ছাড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কী ভাবে নিয়োগ করে পারে?” পাল্টা অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বলেন, “জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যদি কোনও অনিয়ম করে থাকে তা হলে তার দায় পর্ষদ কেন নেবে?”

এরপর ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করলে পাল্টা তিনি বলেন, “বারংবার ব্যাঙ্কের কাছে মানিক এবং তার ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলেও তা দিতে অস্বীকার করছে ব্যাঙ্ক। ফলে তদন্ত করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ”
দুপক্ষের কথা শুনে ইডির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, “এভাবে যদি চলতে থাকে, তদন্তে কোনও অগ্রগতি না হলে অনন্তকালের জন্য কাউকে জেলে আটকে রাখা যায় না।” প্রসঙ্গত, বিচারপতি ঘোষই এর আগে মানিক পত্নীর জামিনের আবেদনে সায় দিয়েছিলেন।





Made in India