নিয়োগ দুর্নীতিতে জামিন পেয়েও শান্তি নেই! বাধ্য হয়ে এ বার বড় পদক্ষেপ মানিকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছিল নাম। এবার পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) নতুন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে রীতিমতো বাধ্য হলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তার পুরনো সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দেওয়া হয়েছে।

বাধ্য হয়ে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন মানিক | Manik Bhattacharya

দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জামিনে মুক্ত হন মানিক। তবে তার অ্যাকাউন্ট খোলে নি। সেই কারণে তিনি বিধানসভা থেকে বেতন পাচ্ছিলেন না। পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষক হিসাবে পেনশন পাওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়েছিলেন। এরপর মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় অবস্থিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখায় নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন মানিক। তাতেই দূর হয়েছে সমস্যা।

জানা যাচ্ছে, বিধানসভায় বেতন পাওয়ার জন্যই এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন তৃণমূল বিধায়ক। জুন মাসে তার নতুন অ্যাকাউন্টে বেতনও জমা পড়েছে। মানিক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এখনও কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি ইডি। অথচ আমার ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ় করে রাখা হয়েছে। সে কারণে আমি চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছি। বেতন বন্ধ, পেনশন বন্ধ— এ ভাবে আর কত দিন চলবে?’

আরও পড়ুন: শহিদের স্ত্রীকেও ছাড়ল না, হিমাংশীর অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল পর্ন সাইটে! গ্রেফতার মহিবুল-গুলাম

জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই নিজের পুরোনো জীবনে ফেরার চেষ্টা করেছেন মানিক। প্রথম থেকেই বিধানসভার কার্যকলাপে সক্রিয় তিনি। কেবল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় হয়ে থাকার কারণে বেতন পাচ্ছিলেন না তৃণমূল বিধায়ক। মানিকের দাবি, ইডির ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে রয়েছে বিধায়ক হিসেবে বেতন পাওয়ার অ্যাকাউন্ট এবং অধ্যাপক হিসাবে পেনশন প্রাপ্তির অ্যাকাউন্ট।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/YuScrPMJpmE?si=ucS36S4221lrkAAC

নিজের সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফেরাতে মানিককে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তবে তা যথেষ্টই সময়সাপেক্ষ এবং অনিশ্চিত। সেই কারণে যত দিন না পুরনো অ্যাকাউন্টগুলি পুনরায় সচল হচ্ছে, তত দিন সাময়িক সমস্যা কাটাতে তিনি এই নতুন অ্যাকাউন্ট দিয়ে কাজ চালাবেন। বিধানসভা তরফে মানিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন মঞ্জুর হলে জুনের শুরুতে অ্যাকাউন্টে বেতন ঢুকেছে। সবমিলিয়ে আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে বিধায়ক।