বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। এই ইস্যুতে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ জমা পড়ার পর এবার কার্যত নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের (Nabanna) নজরে এসেছে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট। জানা যাচ্ছে, ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট কাণ্ডে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ সম্প্রদায় দফতর৷
ভুয়ো OBC সার্টিফিকেট বিতর্কে বিরাট কড়া নবান্ন (Nabanna)
তদন্ত শুরু হতেই, উঠে এসেছে খড়গপুর ও ব্যারাকপুরের দু’জন আধিকারিকের নাম। অভিযোগ বিগত দু’বছরে তারা এমন একাধিক ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ করেছেন। ইতিমধ্যেই ইন্সপেক্টর র্যাঙ্কের ওই দুই আধিকারিককে শো-কজ করেছে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস দফতর।
তদন্ত করে জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেই বহু মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা নিয়েছেন। অভিযোগ মিলতেই নবান্নের (Nabanna) তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়। তবে জানা যাচ্ছে, শংসাপত্র জালিয়াতির এই ঘটনা নতুন নয়,বছর দু’য়েক আগেও এই জাল শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চিহ্নিত করার পর এবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি ভেঙে তৈরী হচ্ছে বহুতল? হাইকোর্টের দ্বারস্থ পুরসভা
রাজ্যের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস দফতর জানিয়ে দিয়েছে, ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত থাকলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসাথে স্পষ্ট জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের পদ বা অবস্থান দেখা হবে না। অর্থাৎ এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকলে নিস্তার পাওয়ার আর কোনো পথ নেই। দফতরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

ভুয়ো সার্টিফিকেট কাণ্ডে ইনস্পেক্টর র্যাঙ্কের দুই অফিসারকে শোকজ করার পর সামনে আসছে আরও এক গুরুতর অভিযোগ। জানা যাচ্ছে,কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৪৫টি জাতিগত শংসাপত্রের অপব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগ ওই শংসাপত্র গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। খাস কলকতার এমন নামি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সংরক্ষণ নীতির অপব্যবহার করার অভিযোগ মিলতেই বিরাট শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।





Made in India