বাংলাহান্ট ডেস্ক : খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেল পরিষেবা। রেল কর্তৃপক্ষ সেই জন্য রেলের জমিতে থাকা বেআইনি দোকান উচ্ছেদে নামল প্রশাসনকে সাথে নিয়ে। রেলের জমিতে থাকা একাধিক দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নদিয়া শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ পর্যন্ত এর আগে চলাচল করত রেল। সেটি ছিল ন্যারোগেজ লাইন।
রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে ২০১০ সালে নোটিশ জারি করে বলা হয় ন্যারোগেজ থেকে এবার বদলে করা হবে ব্রডগেজ। এরপর রেলের তরফ থেকে শুরু করা হয় কাজ। দীর্ঘদিন আগেই শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু জমি জটের কারণে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ পর্যন্ত থমকে ছিল কাজ।
আরোও পড়ুন : রিলে নাচতেই ‘ট্রোলড’ অপরাজিতা! বেজায় খেপে গিয়ে ঠিক যা যা বললেন অভিনেত্রী….
কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হলেও, তারপরে আর কাজ এগোয়নি জমি জটের কারণে। জমি জটের কারণে দীর্ঘদিন কাজ স্তব্ধ থাকার পর রেলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যতদূর কাজ হয়েছে ততদূর পর্যন্ত শুরু করা হবে রেল পরিষেবা। সেই পরিকল্পনা মতো মাস দুয়েক আগে রেল তাদের জমিতে থাকা বেআইনি দোকানদারদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ পাঠায়।
আরোও পড়ুন : পুজোর আগেই কড়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের! ভারতের জন্য বন্ধ ইলিশ রপ্তানি, হঠাৎ কী হল?
এমনকি তিন দিন আগে রেল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে দোকানদারদের উঠে যেতে বলা হয়। কিন্তু দেখা যায় এতবার বলা সত্ত্বেও বেশ কিছু দোকান রেলের জমিতে থেকে গেছে। তারপরেই এই দোকানগুলোর বিরুদ্ধে রেলের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে, রেলের কঠোর পদক্ষেপে পাশে আছে প্রশাসনও।
![]()
প্রশাসনকে সাথে করে আজ রেলের পক্ষ থেকে সেই দোকানগুলি ভাঙার কাজ চালানো হয়। রেলের জমিতে থাকা বেআইনি দোকান ভেঙে দেওয়া হয় জেসিপি দিয়ে। ওই এলাকার বাসিন্দারাও চাইছেন রেল দ্রুত বেআইনি দোকান উচ্ছেদ করে পরিষেবা শুরু করুক। তবে আজ উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় দোকানদাররা বাধা দেয়নি প্রশাসন ও রেলকে।





Made in India